ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

বগুড়ায় মার্কেটে আগুনে ৩৮টি ওষুধের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২ এপ্রিল ২০২৪  
বগুড়ায় মার্কেটে আগুনে ৩৮টি ওষুধের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে দুপুরে আগুন লাগে

বগুড়া শহরের মার্কেটে লাগা আগুনে ৩৮টি ওষুধের গোডাউন ও লিফট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি এতথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে শহরের সাতমাথার মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ছয় তলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: ৮ ইউনিটের চেষ্টায় বগুড়ায় বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতি জানায়, মার্কেটের দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় ওষুধের দোকান রয়েছে। ষষ্ঠ তলা ওষুধের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে মোট ৪০টি গোডাউন রয়েছে। এরমধ্যে সাইদুর রহমানের অভি মেডিসিন সবচেয়ে বড় গোডাউন। সেখানে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ষষ্ঠ তলায় থাকা অন্য গোডাউনগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে অভি মেডিসিনের পাশে থাকা পলক মেডিসিন, হিরা ফার্মেসি,  রফিক মেডিকেল, এসএম ফার্মেসিত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভবত জ্বলন্ত সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মার্কেটে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল। আগুনের কারণে ছয় তলায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের এসে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেন।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুনের ভয়াবহতা কম ছিল। তবে, ধোঁয়ার পরিমাণ ছিল অনেক। এছাড়া, মার্কেটটিতে একটি মাত্র সিড়ি রয়েছে। ফলে চলাচলেও সমস্যা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ধোয়া বের করে দেওয়া হয়। মূলত এই কাজটি করতে সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।

অভি মেডিসিনের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, মার্কেটে তার সবচেয়ে বড় গুদাম রয়েছে। আগুনে গুদামে থাকা সব ওষুধ পুড়ে গেছে।

মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ওষুধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ৩৮টি গুদামের ওষুধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কেটের লিফট নষ্ট হয়ে গেছে। আরো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিটি গুদামে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ওষুধ ছিল।

তিনি আরও বলেন, মার্কেটে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে। সেটি ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। আমরা ধারণা করছি, ইলেকট্রিক সার্কিট নয়, জ্বলন্ত সিগারেট থেকে এই ঘটনা হতে পারে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক ম‌ঞ্জিল হক বলেন, দুই ঘন্টা কাজের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের থেকে ধোঁয়ার পরিমাণ বেশি ছিল। এজন্য সময় লেগেছে বেশি।  পুরো ভবনটি আমরা ঘুরে দেখেছি। এখানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল। সিড়ি একটা ছিল। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত করে বলা হবে।

এনাম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়