ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ

অধ্যক্ষ রাজশাহীতে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ৪ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৫:১৬, ৪ এপ্রিল ২০২৪
অধ্যক্ষ রাজশাহীতে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত

দিনের পর দিন অফিস ফাঁকি দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান রাজশাহীতে একটি বেসরকারি প্রাইভেট ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগি দেখছেন। সপ্তাহে একদিন এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করে দিয়ে আবার চলে যান। 

পাশাপাশি সরকারি বিধি ভঙ্গ করে রাজশাহীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দুপুর থেকে শুরু করে রাত ১০ টা পর্যন্ত একটানা রোগী দেখেন। 

সরেজমিন খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে মাস দুয়েক আগে যোগদান করেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। কুষ্টিয়া জেলায়  বদলি হলেও তিনি রাজশাহীর মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখেন। এ কারণে তিনি কুষ্টিয়ায় নিয়মিত অফিস করেন না।

মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী জানান, নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে একদিন রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়ায় এসে অফিস করেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠান থাকলে তখন আসেন। সে সময় জরুরি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করে যান।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিক্যালে চিকিৎসক ও শিক্ষকদের জন্য ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা থাকলে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। অন্যরা যেখানে সময়মতো অফিস করেন সেখানে অধ্যক্ষের ডিজিটাল হাজিরা লাগে না।

এদিকে দিনের পর দিন ঠিক মত অফিস না করায় প্রশাসনিক কাজে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন অফিস সহকারি জামান আহমেদ। কথিত রয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে আসা অফিস সহকারিই এখন এই মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা করছেন।  

সপ্তাহে ৫ দিন অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারে ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের থিসিস পরীক্ষা নিতে যেতে হয়, এছাড়াও মন্ত্রণালয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজ থাকে।  

অ‌ভি‌যোগ অস্বীকার ক‌রে তিনি বলেন, আমি ম্যাক্সিমাম দিনই থাকি। আমি না থাকলে শিক্ষকরা উনাদের মত কাজ করে নিতে পারেন। 

একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি অনুপস্থিত থাকে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাজ ব্যহত হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে আমার থাকা বা না থাকা কোন বিষয় না। ক্লাস হচ্ছে কিনা, শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছে কিনা, ছাত্র-ছাত্রীদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এটাই আসল বিষয়। আর আমি উপস্থিত না অনুপস্থিত সে বিষ‌য়ে আমার ঊর্ধ্বতন যারা র‌য়ে‌ছেন তাদের কাছে জবাবদিহি করবো।  

আপনি নিয়মিত সপ্তাহে পাঁচ দিন রাজশাহীতে রোগী দেখেন দুপুর আড়াইটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এমন প্রশ্নে‌র জবা‌বে তিনি বলেন, আমি রাজশাহীতে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রোগী দেখা শুরু করি। 

কুষ্টিয়াতে আপনার ডিউটি টাইম আড়াইটা পর্যন্ত তাহলে সাড়ে চারটায় আপনি কিভাবে ওখানে রোগী দেখেন? এ প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। 

কাঞ্চন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়