ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো জান্নাতের মরদেহ, ঝিলিক এখনো নিখোঁজ

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৫ এপ্রিল ২০২৪  
২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলো জান্নাতের মরদেহ, ঝিলিক এখনো নিখোঁজ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশু ডুবে গেছে। এদের মধ্যে ২০ ঘণ্টা পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জান্নাত খাতুন (৮) নামের ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ঝিলিক খাতুন (১২) নামের অপর এক শিশু। তাকে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে, গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে মানিকচর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু জান্নাত ও ঝিলিক নিখোঁজ হয়। জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মণ্ডলের মেয়ে। ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে ফুপাতো-মামাতো বোন।

মারা যাওয়া শিশুর স্বজনরা জানান, মানিকচর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ের সঙ্গে নূর মোহাম্মদের ছেলে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সপরিবারে জান্নাত কুষ্টিয়া থেকে ঈদের পরদিন বাঘা উপজেলায় বেড়াতে আসে। পদ্মা নদীর তীরে বাড়ি হওয়ায় জান্নাত ও ঝিলিক সেখানে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে তারা নিখোঁজ হয়।

শিশুদের খুঁজে না পেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় পরিবার। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। গতকাল রোববার দিনভর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে কাজ করে। সন্ধান না পেয়ে রাতে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ করে তারা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে একটু দূরেই জান্নাতের মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে নৌ-পুলিশ  ওই শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনায় নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
 
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান জানান, যেখানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গম চর এলাকা। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। আজ সোমবার এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর শিশুকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকালে জান্নাত নামের এক শিশুর মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। আইন প্রক্রিয়া শেষে মারা যাওয়া শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়