ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফেনীতে বন্যা

ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে দুর্গত এলাকায় যাচ্ছে মানুষ

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৭ আগস্ট ২০২৪  
ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক-পিকআপে দুর্গত এলাকায় যাচ্ছে মানুষ

বন্যা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ফেনীর বিভিন্ন উপজেলার মানুষজন

ফেনীর নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। জেলার দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার কিছু অংশে পানি থাকলেও অন্যান্য উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে, এখনো আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে স্বাভাবিক হয়নি যানচলাচল। ফলে ট্রাক এবং পিকআপ ভ্যানে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষজন। এদের মধ্যে অনেকে বন্যার পর প্রথমবার বাড়ি যাচ্ছেন। অনেকে জরুরি কাজে ফেনী শহরে এসেছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যায় প্লাবিত ফেনী-পরশুরাম ও ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের অনেক স্থান থেকে এখনো পানি নামেনি। সড়কগুলোতে ছোট যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। গ্যাস নিতে না পারায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গন্তব্যে ছোটা মানুষজন। 

আরো পড়ুন:

পরশুরাম থেকে মালবাহী ট্রাকে করে ফেনী এসেছেন পঞ্চাশোর্ধ আবদুল মালেক। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় ট্রাক-ট্রলি ছাড়া কোনো যানবাহন নেই। অনেক্ক্ষণ অপেক্ষা করে  ট্রাকটি পেয়েছি। জরুরি প্রয়োজনে শহরের এসেছি। সিএনজি চালিত অটোরিকশার চেয়ে ভাড়া কিছুটা বেশি দিতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই আসতে হয়েছে।’ 

ফেনী সদর হাসপাতাল মোড় এলাকায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ফুলগাজীর বাসিন্দা আহসান জোবায়ের। তিনি বলেন, ‘বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছে আমার পরিবার। গত এক সপ্তাহ তাদের খোঁজ পাচ্ছি না। হাসপাতালের পাশের একটি ভবনে গত চার দিন ধরে ছিলাম। পানি কমে যাওয়ায় এখম বাড়ির দিকে যাচ্ছি।’ 

পিকআপ ভ্যানের চালক আমির হোসেন বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ও সড়কের অনেক স্থানে পানি থাকায় রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ২০-৩০ টাকা বেশি নিচ্ছি। আমরা বড় গাড়িতে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’

প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীতে বন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বন্যায় জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছিলেন। 

সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়