ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাইবান্ধায় সাবেক ৬ এমপিসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২২ মে ২০২৫   আপডেট: ১৯:৩১, ২২ মে ২০২৫
গাইবান্ধায় সাবেক ৬ এমপিসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা জেলা সদর থানা

গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. বায়োজিদ বোস্তামি জীমকে (২৪) হত্যাচেষ্টার ঘটনার ১০ মাস পর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

মামলায় সাবেক ছয় এমপিসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা-উপজেলার ৮৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী বায়োজিদ বোস্তামি জীম বাদি হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা জেলা আ.লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাহিদ নিগার সুলতানা, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সরোয়ার কবির, সদর আসনের সাবেক সংসদ ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এবং গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে বায়েজিদকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফ সরকারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

বিষয়টি জানতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর গত ৪ আগস্ট বেলা ২টার দিকে গাইবান্ধা ডিসি অফিসের সামনে থেকে পুনরায় তাকে আটক করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে মারধর করা হয়। এসময় ৭০-৭৫টি রাবার বুলেট দিয়ে তার শরীরে গুলি ছোড়া হয়। হামলার পর হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

মামলার বাদী গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামি জীম বলেন, “দুই দফায় আমার ওপর হামলা করাসহ হত্যাচেষ্টা চালায় ফ্যাসিস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত আ.লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ১০ মাস পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। আশা করি, ন্যায়বিচার পাবো এবং পুলিশ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করবে।”

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “জোরপূর্বক অপহরণের পর মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় সাবেক ছয় এমপিসহ জেলা আ.লীগের সভাপতি ও অঙ্গসংগঠনের ৮৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

ঢাকা/মাসুম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়