ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

খুলনায় কিশোর শুভ হত্যার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ১০ জুলাই ২০২৫  
খুলনায় কিশোর শুভ হত্যার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন 

খুলনায় কিশোর ইয়াছিন ওরফে শুভ হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানার অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আাদলতের বেঞ্চ সহকারী গনেশ কুমার দাস।

অপরদিকে, তিন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—খালিশপুর থানাধীন রায়েরমহল উত্তর পাড়ার বাসিন্দা শেখ শামসুর রহমানের ছেলে ইসরাফীল এবং সোনাডাঙ্গা থানার আন্দিরঘাট এলাকার বাসিন্দা শামসু শেখের ছেলে মিঠু।

খালাস পেয়েছেন— রায়েরমহল এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার মুন্সির ছেলে মো. আরেফিন মুন্সি, একই এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ নুরুর ছেলে আবুল কলাম আজাদ ওরফে ডিবি কালাম এবং আব্দুল ওহাব শেখের ছেলে মিরাজ।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুর থানাধীন বয়রা রায়েরমহল উত্তর পাড়ার বাসিন্দা শেখ শামসুর রহমানের বাড়িতে মাসিক ১ হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতেন ইয়াছিন ওরফে শুভ। ওই বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে শুভ ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি বের হয়ে তার চাচা মো. কাওছার শেখের বাড়িতে চলে যায়। সেখানে রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে চাচার বাড়ি থেকে বের হলে আন্দিরঘাটস্থ শামসুল হকের ছেলে মিঠু তাকে ভ্যান চুরির অপরাধে মারধর করে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে কল করে ইসরাফীলকে বয়রায় আসতে বলে। ইসরাফীল এবং কালাম শুভকে মারধর করে মোটরসাইকেল যোগে ডুমুরিয়ায় ঘেরের দিকে নিয়ে যায়। শুভর মা মিঠুর কাছে জানতে পারে, তার ছেলেকে ইসরাফীল এবং কালাম ধরে নিয়ে গেছে। ঘেরে নিয়ে গিয়ে শুভর ভ্রু, মাথার চুল এবং গোফ কেটে দেয় ইসরাফীল। পরে সেখান থেকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে শেকল দিয়ে খেজুর গাছের সাথে শুভকে বেঁধে রাখা হয়। শীতের রাতে বাইরে বেঁধে রাখার কারণে শুভ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুভর মাকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে ইসরাফীল। পরে শুভর মা নিলুফার কাছে ২০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে শুভর মৃত্যু হয়। এরপর তার লাশ খালিশপুর থানাধীন রায়েরমহল এলাকার ব্যাংক কলোনিতে মামার বাড়িতে নেওয়া হয়।

২ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় শুভর চাচা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। একই বছরের ৯ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই আলতাফ হোসেন ৫ জনকে আসামি করে আদলতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়