গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা, গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গোপালগঞ্জ শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কারফিউয়ের পর জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার রেশ এখনো রয়েছে জেলাজুড়ে। জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও গণ গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৬টায় কারফিউ শেষ হলেও আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী ও জরুরি সেবাসমূহ এর আওতামুক্ত থাকলেও নিষিদ্ধ রয়েছে সভা, সমাবেশ ও জনসভা।
এদিকে, হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি গোপালগঞ্জে। হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো পিকেটিং বা মিছিল হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষও একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হয়নি। তবে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও সময় মতোই চলমান এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে বিপাকে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলাজুড়ে টহল জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করা হচ্ছে।
গণ গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ নয়, যারা প্রকৃত দোষী তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “কারফিউ বা ১৪৪ ধারা নতুন করে জারি করা হবে কিনা তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই এসসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে পাঁচ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক। এ ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আসামি করা হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে। গ্রেপ্তার হয়েছে ২৮৩ জন।
ঢাকা/বাদল/এস