ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ১২ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২২:২৬, ১৬ আগস্ট ২০২৫
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যে নির্মিত দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। পাঁচদিন এগিয়ে এনে আগামী ২০ আগস্ট উদ্বোধন করা হবে এই সেতুটি। এর আগে, সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ প্রথমে ২ আগস্ট এবং পরে ২৫ আগস্ট নির্ধারন করা হয়েছিল।

সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ শামীম বেপারী স্বাক্ষরিত এক পত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

গত ৪ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সেতুটি যান। তিনি সেতুটি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে জুলাই মাসেই উদ্বোধন করার কথা বলেছিলেন। এরপর গত ১৩ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ শামীম বেপারী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ২ আগস্ট সেতুটি উদ্বোধনের বিষয়টি জানানো হয়। সেতু উদ্বোধনের অন্তিম মুহূর্তে তারিখ পিছিয়ে ২৫ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। এরপর সবশেষ উদ্বোধনের তারিখ এগিয়ে এনে আগামী ২০ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। 

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, ‍“নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ২০ আগস্ট দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতুর লাইটিং ও রঙের সব কাজ শেষ। এই সেতু দুই অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ছাড়াও উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।” 

তিনি বলেন, “কুরিগ্রাম থেকে গাইবান্ধা হয়ে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার কমে আসবে। এতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় সাশ্রয় হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।” 

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি নির্মিত হয়েছে সৌদি সরকারের অর্থায়নে, চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে। ৮৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১,৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডার সেতুটি বাস্তবায়নে সরাসরি তদারক করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দেশের ইতিহাসে এটিই এলজিইডির সর্ববৃহৎ প্রকল্প।

সেতুটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক। যেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু। বেলকা বাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্যাপুর ও ধাপেরহাটসহ অন্তত ১০টি বাজার ও মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে পুরো সুন্দরগঞ্জ ও চিলমারী অঞ্চল। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়। 

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়