ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাভার যেভাবে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ এলাকায় পরিণত হলো

আরিফুল ইসলাম সাব্বির, সাভার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ২০ আগস্ট ২০২৫  
সাভার যেভাবে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ এলাকায় পরিণত হলো

গবেষণায় দেখা গেছে সাভারে বায়ু দূষণের পেছনে ইটভাটা ২৮ শতাংশ দায়ী

ইটভাটা, সীসা কারখানা, বর্জ্য আর গাড়ির কালো ধোঁয়া— সব মিলে বায়ু দূষণের চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে সাভার। আর এ কারণে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। 

গত ১৭ আগস্ট সরকার এক পরিপত্রে সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করে। এরপর থেকে আলোচনায় এসেছে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ বিষয়টি। এমন ঘোষণার পর কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে আলোচনায় এসেছে সেসব বিষয়ও। 

আরো পড়ুন:

পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাভারের বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় নির্ধারিত মানমাত্রার প্রায় তিন গুণ বেশি। এর ফলে জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস ধরে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই নগরায়ন, শিল্পায়নসহ নানা কারণে সাভারের পরিবেশ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এরমধ্যে বিশেষজ্ঞরা বারবার ইটভাটা, ব্যাটারি কারখানা, সীসা কারখানা, গাড়ির কালো ধোঁয়া ও নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে চিহ্নিত করে এসেছেন। সবচেয়ে বেশি প্রকট আকার ধারণ করেছিল অবৈধ ইটভাটাগুলো। 

২০২৩ সালে বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ু দূষণের পেছনে ইটভাটা ২৮ শতাংশ দায়ী।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সাভারে ১০৭টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র দুটি ভাটায় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে এখানকার দূষিত বাতাস ঢাকায় প্রবাহিত হয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জনজীবনকে আরো ঝুঁকির মুখে ফেলে। 

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) মো. জিয়াউল হক বলেন, “নিয়মিত বায়ু দূষণ মনিটরিং করার জন্য আমাদের স্টেশন রয়েছে। পুরো বাংলাদেশে ৩১টা রয়েছে। ঢাকায় চারটি। সাভারেও রয়েছে। আমরা দেখছি ৫-৬টা শহর সবচেয়ে দূষণ করে। ঢাকা শহর, ঢাকা জেলা, রংপুর, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ এগুলো প্রথম ৬-৭টা শহরের মধ্যে আছে। ঢাকা শহরে যেহেতু মানুষ বেশি, সুতরাং এখানে দূষণ বেশি হলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হবে। এজন্য ঢাকার আশেপাশে কোন জায়গাটায় দূষণ বেশি সেটা নির্ণয় করা হয়। আর সেটা হলো সাভার উত্তরে।”

তিনি বলেন, “সাভারে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। তখন বায়ু প্রবাহ হয় উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্বে। অর্থাৎ ঢাকার উত্তরের যে বায়ু দূষণ, সব ঢাকা শহরে ঢুকে অক্টোবরের পর থেকে। ফলে সাভারের দূষণ পুরোটাই ঢাকা শহরে ঢুকছে।”

সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “দেখা গেছে ঢাকা আর সাভারের দূষণ প্রায় সমান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাভারের দূষণ ঢাকার চেয়ে বেশি। তবে সাভারের দূষণের সোর্স খুব বেশি নয়। ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো, অল্প দুই একটা কারখানা আছে যেগুলো বায়ু দূষণ করে। এজন্য সাভারকে ধরেছি। সাভারের বায়ু দূষণ যদি কমানো যায়, তাহলে আমাদের ঢাকার দূষণের প্রভাব কমবে।”

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘোষণার মাধ্যমে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সাভার উপজেলায় টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটা ছাড়া সব ধরনের ভাটায় ইট পোড়ানোসহ ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, “সাভার উপজেলায় কোনো ইটভাটা চলবে না। এটা জিরো। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। ইটভাটা মালিক সমিতির সঙ্গে আলাপ করেছি। উনারাও নীতিগতভাবে রাজি হয়েছেন। আলাপ করেই প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্লক কারখানা করতে বলা হয়েছে। সহজ শর্তে, কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে সরকার থেকে। প্রণোদনা দেওয়া হবে। সাভারের তিনভাগের দুইভাগ ইটভাটাই অবৈধ। সেগুলো বন্ধ করতে হবে।”

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে এর বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, “সাভার এক সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ছিল। বায়ু, পানি ছিল নির্মল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শিল্প কারখানা, নির্মাণকাজ ও ঢাকা নগর গড়ে ওঠার ইট সরবরাহের অন্যতম হাব এই সাভার, ধামরাই অঞ্চল। ফলে এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এরমধ্যে অন্যতম বায়ু দূষণ। এর কারণ প্রথমত চিহ্নিত করতে পারি, ইটভাটার চিমনির নির্গত ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ধোঁয়া, ইপিজেডসহ শিল্পকারখানার নির্গত ধোঁয়া ও বায়ু দূষণকারী যেসব উপাদান রয়েছে এরমধ্যে অনেকগুলো প্রাণঘাতী সেগুলো বায়ুর সঙ্গে মিশছে। এর অন্যতম কারণ এই অঞ্চলের কোনো পরিকল্পনা নেই। একটা মাস্টারপ্ল্যান নাই।”

তিনি বলেন, “যেখানে আবাসিক এলাকা কীভাবে সংরক্ষণ করবো, শিল্পাঞ্চল কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবো, কীভাবে সড়ক ব্যবস্থাপনা করবো। ইটভাটা কীভাবে ব্যবস্থাপনা করবো, সে বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তো তৈরি হবে।”

বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, “দিনে আমরা সাড়ে তিন কেজি খাবার-পানি খাই। আর দিনে বাতাস খাই ১২-১৬ কেজির মতো। সেখানে নূন্যতম যদি, দূষিত পদার্থ থাকে, তা হৃদযন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, রক্তের মাধ্যমে ব্রেইনে চলে যায়। রক্তের সঙ্গে মিশে হৃদরোগের কারণ হয়।”

প্রতিকারের বিষয়ে অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, “যেসব নির্মাণকাজ চলছে, ধূলিকণা উড়ছে, সেগুলো রোধ করতে প্রথমত মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। এরপর আইন প্রয়োগ করা ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়াতে হবে। তা না হলে, বায়ু দূষণ থেকে নিস্তার নেই।”

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “বায়ু দূষণের কারণে এই অঞ্চলে বসবাস করা মানুষের স্বাস্থ্য হুমকিতে। বায়ু দূষণের যত ক্ষতি রয়েছে, ওই অঞ্চলে এর সর্বোচ্চটা রয়েছে। এই কারণেই ডিগ্রেডেড ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতির মধ্যে রয়েছে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, আ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, টিউবারকিউলোসিস। এতে ঠাণ্ডা কাশি বাড়ে, ফুসফুসের ক্যান্সার বেড়ে যায়। হৃদযন্ত্রের অসুখ বাড়ে। মানসিক অস্থিরতা বাড়ে। মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র কণা রক্তে মিশে গিয়ে লিভার, কিডনিতে যায়। কিডনি ফেইলিউর হয়। স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। নারী-পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হয়।”

“আমরা জানি পৃথিবীতে যত লোক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার চার ভাগের এক ভাগ বায়ু দূষণের জন্য মারা যায়। তার মানে, আমাদের শরীরের প্রায় সকল অঙ্গ বায়ু দূষণের জন্য প্রভাবিত। এমনকি আয়ুও কমে যায় ৬-৭ বছর। এসব মিলে এই অঞ্চলে বসবাস করা মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্যই ডিগ্রেডেড করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘‘ডিগ্রেডেড করা, এটিকে আপগ্রেড করার জন্য অর্থাৎ দূষণের কারণ ঠিক করার যেসব উদ্যোগ সেগুলো নিতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে এ ঘোষণা কোনো তাৎপর্য বহন করবে না। চীন তার বায়ু দূষণ কমানোর জন্য ১০ বছর আগে কাজ শুরু করে। এরমধ্যে তারা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে। আমাদের সে কাজগুলো করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ঢাকার বায়ু দূষণ পৃথিবীর শীর্ষ দূষিত নগরের একটি, এটি আমরা বলছি, কর্তৃপক্ষ জানে। কিন্তু উদ্যোগ নেই। সত্যিকারের উদ্যোগ নেওয়া হলে লাভবান হওয়া সম্ভব।” 

আইন প্রয়োগ ও নজরদারির আহ্বান, নাগরিক সমাজের

সাভারে দীর্ঘ দিন ধরে ইটভাটাসহ বায়ু দূষণ নিয়ে লেখালেখি করছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তুহিন খান। তিনি বলেন, “সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে এটি কার্যকর করা হলে তা হবে অত্যন্ত ইতিবাচক। সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর তদারকি করতে হবে। পৌরসভার ভেতরে ইটভাটা করার বিধান নাই, কিন্তু সাভার পৌরসভায় ইটভাটা আছে। কলকারখানার বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্যেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ বিষময়। ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। এই উদ্যোগটি ভালো।”

সরকারকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “একমাত্র সরকার কঠোর অবস্থান নিলে এটার বাস্তবায়ন সম্ভব। ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। আরও যেসব তৎপরতা প্রয়োজন নিতে হবে। সেক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যাবে। সাভারের সর্বস্তরের মানুষই এটির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে এই উদ্যোগকে সাধারণ মানুষও স্বাগত জানাচ্ছে।”

সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান নঈম বলেন, “পরিবেশ অধিদপ্তর যে উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। মানুষের স্বাস্থ্যের যে চরম ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে সেটি নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের নদী-নালা, খাল বিল পরিবেশ যেভাবে দূষিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা এখানে বসবাস করতে পারবো না। এগুলো আমরা বারবার বলেছি। সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, শুধু কাগজপত্রে যাতে সেটি সীমাবদ্ধ না থাকে। অবস্থা থেকে বেরিয়ে বাসযোগ্য সাভার গড়তে যা যা প্রয়োজন, আশা করি সরকার সেগুলো করতে পিছপা হবে না।”

তিনি বলেন, “এখানে যথাযথভাবে পরিবেশ বিপর্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগ নিতে একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম নিতে হবে। যে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে না আসে, সেটি চলমান রাখতে হবে। আর এখানকার গুরুত্ব অনুধাবন করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অনুরোধ করবো, যাতে একটা কার্যালয় চালু করে। এতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। না হলে আগে যে অবস্থা ছিল, সেরকমই রয়ে যাবে।”

এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, “বায়ু দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই ঘোষণাটি ভালো। কিন্তু কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটিই দেখার। দেশে পরিবেশ আইন আছে। কিন্তু আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না। ওখানে কতগুলো ইটভাটা রয়েছে। তারা বলে, অনুমতি নিয়ে করছে। আমরা প্রশ্ন করেছি, বৈধ যদি হয়, এগুলো কি দূষণ করে না? দূষিত তো হয়। তাহলে দূষণের জিনিস রেখে কীভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

“আমরা শঙ্কিত, এটি আসলেই ঠিকমতো বাস্তবায়ন হবে কিনা। পলিথিনের কোনো বিকল্প দেওয়া যায়নি। ঘোষণা কিন্তু কাজে আসেনি। ফলে বায়ু দূষণের উৎস যদি বন্ধ না করা হয়। তাহলে এই ঘোষণা কোনো কাজে আসবে না” বলেন তিনি।
সরকারের আগের ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইটভাটার বিষয়ে সরকার বলেছিল ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০ ভাগ ব্লক ইটে রুপান্তর হবে। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এখন ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সেটি বর্ধিত করা হয়েছে। আমরা বলছি, বাইরে না হলেও অন্তত সরকারি প্রকল্পে ব্লক ইটের ব্যবহার হোক। তাহলেই ৫০ ভাগ বাস্তবায়ন হবে। আর যারা বিনিয়োগ করেছে, তাদের প্রণোদনা দেওয়া হোক। তারা ব্লকের দিকে আকৃষ্ট হোক। পরিবেশের যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, প্রণোদনা দিলে তার চেয়ে কম ব্যয় হবে। এছাড়া, অন্যান্য যেসব সোর্স রয়েছে দূষণের সেগুলো বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।’”

সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু বকর সরকার বলেন, “আমরা অবৈধ ইটভাটার ৩২টি চিমনি ভেঙে দিয়েছি। অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য সীসা কারখানা, ব্যাটারি কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও চলমান। তথ্য পাওয়া মাত্রই সেগুলো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাভারকে যেহেতু ডিগ্রেডেড এয়ারশেড ঘোষণা করা হয়েছে, ফলে বায়ু দূষণে ভূমিকা রাখা যেসব অবৈধ ইটভাটা, ব্যাটারি কারখানা, সীসা কারখানা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।”

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়