ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাইবান্ধায় ছাত্রশিবির নেতাকে হত্যা: ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২১ আগস্ট ২০২৫  
গাইবান্ধায় ছাত্রশিবির নেতাকে হত্যা: ওসিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শিজু মিয়া এবং বাদশা আলম

গাইবান্ধার সাঘাটায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা সিজু মিয়া হত্যার ঘটনায় সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাদশা আলমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সিজুর পরিবারের পক্ষে বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা রিক্তা বেগম। 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত সিজুর মামা শাহালম মিয়া।

আরো পড়ুন:

শাহালম মিয়া বলেছেন, “সাঘাটা থানায় মামলা না নেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন আমার বোন রিক্তা বেগম। বিচারক পাঁপড়ি বড়ুয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।”

আসামিরা হলেন—সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলম, এসআই মশিউর, এএসআই রাকিবুল ইসলাম, এএসআই মহসিন আলী সরকার, এএসআই আহসান হাবিব, এএসআই উজ্জল, এএসআই (ডিউটি অফিসার) লিটন মিয়া, হামিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, নয়ন চন্দ্র, জয় চন্দ্র, ধর্মচন্দ্র বর্মণ, সাব্বির হোসেন, ইউসুফ আলী এবং মমিনুল ইসলাম। মামলার আরো অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয় হয়েছে। 

মামলায় সাঘাটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার রতন চন্দ্র শর্মা, ডুবুরি আবুল কালাম আজাদ, ফায়ার ফাইটার জিয়াউর রহমানসহ ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দিনমজুর দুলাল মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি সিজু মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে থানায় ডেকে নিয়ে আসামিরা লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করে। পরে কৌশলে হত্যার উদ্দেশ্যে সিজুকে থানার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সাঁতার কেটে বাঁচার চেষ্টা করলে আসামিরা বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে সিজুকে হত্যা করে। সিজু মানসিক ভারসাম্যহীন, এ কথা বলে হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে পুলিশ। 

গাইবান্ধা জেলা শিবিরের সভাপতি ফেরদাউস সরকার রুম্মান বলেছেন, “সাঘাটা থানায় মামলা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করা হয়েছে। আমরা চাই, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা হোক।”

সিজুর মা রিক্তা বেগম বলেছেন, “আমার সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে। পুলিশ মামলা নেয়নি। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাঘাটা থানার ওসি বাদশা আলমের সরকারি নম্বরে কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন এসআই মশিউর রহমান। তিনি বলেন, “স্যার সাক্ষ্য দিতে গেছেন। আমাদের নামে মামলা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তি মেনে নেব।” 

মামলার সাক্ষী সাঘাটা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার রতন চন্দ্র শর্মা বলেছেন, “যেহেতু মামলাটি তদন্তাধীন। তাই, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।”

গাইবান্ধার সাঘাটা আমলি আদালতের পুলিশের উপ-পরিদর্শক এম তাজুল ইসলাম বলেছেন, “আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” 

ঢাকা/মাসুম/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়