ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ২৯ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ০৮:২৯, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল

বাজিতপুর উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মিছিলটি বের হয়। সেটি পৌরশহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোছায়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় পৌনে ২০০ বছর আগে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার হাওরের দ্বার খ্যাত বাজিতপুরে সাত থানার চৌকি (দেওয়ানী) আদালত প্রতিষ্ঠা করে। মহকুমা স্থাপনের লক্ষ্যে ১৯১২ সালেই বাজিতপুরে কয়েকশ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।

বক্তারা বলেন, হাওরের কৃষি ও কৃষকের সুবিধা বিবেচনা করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাজিতপুরে এয়ারট্রিপ (বিমানবন্দর) স্থাপন করে। ভৌগোলিক ও পরিবেশগত দিক থেকে সুবিধাজনক পর্যায়ে থাকা বাজিতপুরে এরশাদ সরকারের আমলে জেলখানাও স্থাপন করা হয়। তাই বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার জনদাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি না মানলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বদরুল রহমান ও বিএনপি নেতা জসিম মাহমুদসহ অন্যরা।

গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পৌর এলাকার দূর্জয় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) আড়াই ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব রেল স্টেশনে চলে এই অবরোধ। এ কারণে বিঘ্নিত হয় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কিশোরগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল। এসময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে দুই ঘণ্টা অবরোধের মুখে আটকা পড়ে। ট্রেনটি ছাড়তে চাইলে অবরোধকারীরা বৃষ্টির মত পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। ট্রেনটির কয়েকজন জন যাত্রী আহত হন।

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় সোমবার রাতে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইউসুফ বাদী হয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়