প্রার্থীদের অস্ত্র বহন নিয়ে প্রয়োজনে আচরণবিধি সংশোধন: ইসি সচিব
বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত অস্ত্র বহনের বিষয়টি প্রয়োজনে নির্বাচনি আচরণবিধি সংশোধনের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আখতার আহমেদ বলেন, “সময় ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যদি আচরণবিধিতে সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন তা করবে।”
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা চাইলে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারেন এবং যেসব বৈধ অস্ত্র পূর্বে জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।”
তবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রয়োজন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো সবসময় কমিশনের সঙ্গে সরাসরি সমন্বয়ের বিষয় হিসেবে দেখা হয় না। তবে সামগ্রিকভাবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আচরণবিধির সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখা যাচ্ছে না।”
ভোটের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার বিধান প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, “এটি সময় ও পরিস্থিতিনির্ভর। যখন বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হবে, তখন নির্বাচন কমিশন সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখতে কমিশন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন হলে সময়োপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। তিনি এক অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। হাদি আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্ন বড় আকারে সামনে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পর ইসি সচিব সরকারের অবস্থান তুলে ধরলেন।
ঢাকা/এএএম/রাসেল