ধামরাইয়ে স্থিতিশীল চাল-ডাল-সবজির বাজার
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ধামরাই বাজারের বিভিন্ন পণ্য
ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাজারগুলোতে স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শীতকালীন সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকায় দামের হেরফের হয়নি। পণ্যের দাম আরো কমাতে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের বড় বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া ও বাথুলি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালীন সবজির সরবরাহ খুবই ভালো। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকায়। করলা ৩০-৪০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ১০-১৫ টাকা এবং বাধাকপি ২০-৩০ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারের দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ টাকা দরে। পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, আদা ১৪০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২৯ জাতের নতুন চাল ৫৫-৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৮০ টাকা, হাফ সিদ্ধ ৫৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে পোলাওয়ের চাল ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। পোলাওয়ের চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজারে মোটা মসুর ডাল ৮০ টাকা, চিকনটা ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোলার ডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডালের দামও গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। গত সপ্তাহে চিনি ৯০-৯৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১৯৮ টাকা। সরিষার তেল ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মসলার বাজারে এলাচ ৫৫০-৬০০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম, দারচিনি ৫৫-৬০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম, জিরা ৭০-৮০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম, লবঙ্গ প্রতি ১০০ গ্রাম ২০০ টাকা ও তেজপাতা ১০০-১৩০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মসলার বাজারও গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
ক্রেতাদের দাবি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সবজির বাজারে সরবরাহ আরো বাড়িয়ে দাম কমাতে হবে।
শরিফুল ইসলাম রিফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, “সবকিছুর দামই অতিরিক্ত। দাম কমছে না। দামের জন্য কম কম করে বাজার করছি।”
মাসুদ রানা নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “বাজারে শীতকালীন সবজিসহ মোটামুটি সব ধরনের সবজিরই সরবরাহ আছে। দাম প্রায় একই রকম আছে। এরপরও দাম কিছুটা বেশি এই সময়ের তুলনায়। এজন্য বেচা বিক্রি কম।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ