ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফ্রান্সে আমার চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা  

ক্যাথরিন ডিপ্যাক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ৫ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৬:২৬, ৫ জানুয়ারি ২০২১
ফ্রান্সে আমার চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা  

ছোটবেলা থেকেই আমার বিদেশে পড়ালেখা করার অদম্য ইচ্ছা ছিল। আমি (ক্যাথরিন ডিপ্যাক) ঠিক সেই সময় থেকেই ফ্রান্সের শিক্ষাব্যবস্থা ও মানুষের জীবনাচার, চলাফেরা খুব বেশি পছন্দ করতাম। 

সেখানে আমি ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা করার জন্য সেন্টার ডি’ইতডিস ফ্রাঙ্কো-আমেরিকান ডি ম্যানেজমেন্ট (CEFAM) নামক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় শিক্ষা ও শিল্পোদ্যোগ দুটি মেজর বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করি, তার সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ভাষার উপরেও দক্ষতা অর্জন শুরু করি। CEFAM-এর সামার সেমিস্টার থেকে আমি আমার পড়ালেখার একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য অগ্রসর হই।

আমি প্রায়ই প্যারিসে বেড়াতে যেতাম, তাই সেখানকার জীবনব্যবস্থা, রাস্তাঘাট, বাজার সবকিছুই আমার মোটামুটি চেনা-জানা ছিল। কিন্তু জীবনে প্রথমবারের মতো আমি সেখানে একটি বাসা নিয়ে একা বসবাস করা শুরু করি, যা আগে কখনো ভাবিনি। রাতের বেলা প্রথম দিক আমার একটু ভয় করতো, কিন্ত কিছু দিন যাওয়ার পর আমি দেখলাম যে আমার আশেপাশের প্রতিবেশীরা খুবই ভালো ও তারা আমার সঙ্গে খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ও আমার ভয়-ভীতি কেঁটে যায়।

প্রতি বছরই (CEFAM) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার সেমিস্টারে অনেক আমেরিকান শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই আমার নিজ দেশের অনেক ছাত্রছাত্রী দেখতে পাই ও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করি। খুব কম সময়ের মধ্যেই আমার অনেক বন্ধু হয়ে যায়। আমরা একসঙ্গে চলাফেরা শুরু করি ও সেখানকার স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থাগুলো চিনতে শুরু করি, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।

সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় আমি আমার পড়ালেখার অন্তর্ভুক্ত বিষয়ের অনেক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা শুরু করি। তার সঙ্গে আমি সেখানকার স্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামগুলোও উপভোগ করি এবং কিছু দিন পর সেই প্রোগ্রামগুলোতেও আমি কমবেশি করে অংশগ্রহণ করা শুরু করি। সেগুলো থেকে আমি অনেক কিছু শিখি, যা আমার মেধা বিকাশের জন্য অনেক প্রয়োজন ছিল।

প্রথম দিকে আমি ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে খুব ভয় পেতাম, কিন্তু কিছু দিন পর আমি একাধারে কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই ফ্রেঞ্চ বলতে শুরু করি। তারপর ইংরেজি ভাষাও মাঝে মাঝে আমার কাছে একটু অন্যরকম লাগতো।

সেখানে আমি প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় যেতাম এবং নতুন ধরনের খাবার উপভোগ করতে থাকি। আমি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, পার্ক ও ফিল্মসিটিতে ঘুরে বেড়াই। দিনের বেশির ভাগ সময়েই আমি ও আমার বন্ধুরা এসব স্থানে সময় কাঁটাতাম।

আমি সেখানকার নতুন অভিজ্ঞতাগুলো খুবই ভালোবাসি এবং খুবই গর্বিত অনুভব করি। CEFAM বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি জীবনটাকে যেভাবে অনুভব করছি, মনে হয় না যে আর কখনো আর সেইভাবে জীবনটাকে অনুভব করতে পারবো কি না।

লেখক: শিক্ষার্থী, সেন্টার ডি’ইতডিস ফ্রাঙ্কো-আমেরিকান ডি ম্যানেজমেন্ট। 

ঢাকা/সাফায়েত/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়