বাকৃবির গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালা শনিবার 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালা আগামী শনিবার (২৯ মে) হবে। প্রতিবছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) আওতায় এ কর্মশালা হয়। 

‘বাংলাদেশে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় কৃষি বিষয়ক গবেষণার রূপান্তরকরণ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ওই কর্মশালাটি ভার্চুয়ালি হবে

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল ১১টায় বাউরেস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য দেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক। 

সাংবাদিক সম্মেলনে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

কর্মশালায় গবেষণার এইচ-ইনডেক্সের উপর ভিত্তি করে ১৭ জন গবেষককে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ দেওয়া হবে। এছাড়াও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ৬ জন উদ্যোক্তাকে ‘প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২১’ দেওয়া হবে। কর্মশালায় মোট ১৯টি টেকনিক্যাল সেশন হবে। এতে সর্বমোট ৪৭৭টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপিত হবে। 

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক আরও বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক ড. শামসুল আলম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে ১৯৮৪ সালের ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৬১তম অধিবেশনে “বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) অধ্যাদেশ” অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এপর্যন্ত বাউরেস ২৮২০টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।