ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাবিপ্রবিতে গানের তালে পিঠা উৎসব

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩  
বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাবিপ্রবিতে গানের তালে পিঠা উৎসব

দিনভর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হলো বিজয়ের আমেজে বাঙালি গানের তালে পিঠা উৎসব।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় পিঠা উৎসবটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। দিনের শুরু থেকেই প্রকৃতিতে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সকাল থেকেই শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই হাজারো প্রতীক্ষিত শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসবের আমেজে মেতে উঠে।

বৃষ্টির কারণে যদিও পিঠা প্রেমীরা একটু দেরিতেই পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছিলো। পিঠা প্রেমীরা যখন বুঝেছিলো বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই তাদেরকে পিঠার স্বাদ নিতে হবে তখন তারা সকল কিছু উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের পছন্দের পিঠা খেতে। পিঠা স্টলের দোকানীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা না গড়াতেই তাদের পিঠা সব শেষ হয়ে যায়।

সেঁজুতি সাংস্কৃতিক ঐক্য'র সাধারণ সম্পাদক মুনতাসীর রহমান সৌরভ বলেন, আমরা এমন বৈরী আবহাওয়া দেখে ভেবেছিলাম যে পিঠা বেশি বিক্রি হবেনা আশানুরূপ ক্রেতা হয়তো পাবো না। কিন্তু আমরা প্রত্যাশার বাইরে পিঠা বিক্রি করতে পেরেছি। এত দ্রুত সময়ের মাঝে এতগুলো পিঠা শেষ হয়ে যাবে ভাবনার বাইরে ছিলো।

ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের শিক্ষার্থী ওয়াসী মোহাম্মদ অয়ন পিঠা উৎসবের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সুন্দর আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। আজকে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। পিঠা খেলাম অনেকদিন পর মনে হলো বাড়ির তৈরি পিঠা খেলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে প্রতিবছরই যেন এমন আয়োজন থাকে।

ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী জিনাত ফারিয়া জেরিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর এটি আমার প্রথম পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ। সত্যি অনেক ভালো অনুভূতি কাজ করছে যা বলে বোঝানোর মতো না। প্রতি বছরই এমন আয়োজনের স্বাক্ষী হয়ে থাকতে চাই।

সন্ধ্যার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার সংলগ্ন টি এস সি তে শুরু হয় গানের আয়োজন। সেখানে শীতকে বরণ করে নেওয়ার গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

শিল্পীরা লোকগান, বাউল গান, মুর্শিদী গান, ভাটিয়ালিসহ বিভিন্ন গান গায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে গানের অনুষ্ঠানে ‘অর্ক সাংস্কৃতিক জোট’ এবং ‘নয় রঙ’ সহযোগিতা করে। 

গানের অনুষ্ঠানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। 
আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদসহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন এক অন্যরকম উৎসবে মেতে উঠেছে। যা দেখলে যে কারোরই ভালো লাগবে ইচ্ছে করবে এমন অংশগ্রহণের স্বাক্ষী হতে।

শীতের সাথে পিঠার মধুর সম্পর্ক সেই প্রাচীনকাল থেকেই। বিশেষ করে বাঙালিদের সাথে বিষয়টি যেন একটু বেশিই যায়। তা যেন আবারও প্রমাণ হলো হাবিপ্রবি'র এমন জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে।

সংগ্রাম/ফয়সাল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়