ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

জাবিতে গভীর রাতে হলের কক্ষ দখলের চেষ্টা ছাত্রলীগের

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১৯ মার্চ ২০২৪  
জাবিতে গভীর রাতে হলের কক্ষ দখলের চেষ্টা ছাত্রলীগের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল শাখা ছাত্রলীগের তিন কর্মীর বিরুদ্ধের তালা ভেঙে একটি কক্ষ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হলের অষ্টম তলার ৮০৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে কক্ষটির বাসিন্দারা হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত হলেন- ৪৭ ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস, ৪৯ ব্যাচের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মোস্তাকিম রহমান রাফি এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির আরমানুল আলম। তারা সবাই হল ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে ও অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনুরাগ দাসের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানসহ নাম না জানা ৪-৫ জন মিলে হামলা চালিয়ে ৮০৮ নং কক্ষের দরজা ও তালা ভেঙে তা দখলের চেষ্টা করে। সেসময় ওই কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকর্মীদের বাধা দিতে গেলে দুজন গুরুতর আহত হয়। এসময় অভিযুক্ত রাফি উচ্চস্বরে চেচিয়ে জানায়, হল প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে সে তালা ভাঙতে এসেছে। এসময় তাদের হাতে রড দেখা গেছে।

ওই কক্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, ‘রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সঙ্গে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এসময় সে চায়ের কাপ ছুড়ে মারে। এতে আমার পা কেটে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অনুরাগ দাস বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছিলাম ওই রুমে কেউ থাকে না। তাই তালা ভেঙে ভিতরে যাই। রুমে কেউ থাকে না এটি মিস ইনফরমেশন ছিল। তালা ভাঙার বিষয়টা আমার ভুল হয়েছে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিবে, তা মাথা পেতে নিবো।’

কক্ষ বণ্টন ও ফাঁকার খোঁজ রাখার দায়িত্ব প্রাধ্যক্ষের, আপনি কেন তা করতে গেছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে অনুরাগ বলেন, ‘চারতলা ও পাঁচতলা তো ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট—সেক্রেটারি পোর্শন ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্লকে যারা অ্যালোটেড তারা অনেকেই নন—পলিটিকাল। আবার নন—অ্যালোটেড অনেকেই পলিটিক্যালি এখানে এসেছে, সিট নিয়েছে। এই একটা ঝামেলা হয়েছে। প্রশাসন শুরু থেকে চার ও পাঁচতলা ফাঁকা করেনি। অ্যালোট দিয়ে ফেলেছে। এখন নন—পলিটিকাল যাদের আর্জেন্সি আছে ও ব্লকে থাকতে চায় না, তাদের থাকার জন্য ওই কক্ষটিতে ব্যবস্থা করতে গিয়ে তালা ভেঙেছি।’

অপর দুই অভিযুক্ত রাফি ও আরমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবীর বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পরপরই রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাতেই এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়