ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

জাবিতে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নকল করে সাক্ষাৎকার চিঠি প্রেরণ

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৪  
জাবিতে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নকল করে সাক্ষাৎকার চিঠি প্রেরণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রেজিস্ট্রার আবু হাসানের স্বাক্ষর নকল করে চাকরির সাক্ষাৎকারের চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজের দপ্তরে ভুক্তভোগী নারী সাক্ষাৎকার দিতে এলে এ বিষয়টি সামনে আসে৷ 

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ অক্টোবর হিসাব সহকারী কম্পট্রোলার অফিসে চারটি পদের জন্য রেজি/প্রশাসন ২/৩৫১৮(২) সূত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (বাণিজ্য) বা এইচএসসি (বাণিজ্য) বা সমমান পাশ থাকার শর্ত দেওয়া হয়।

এরপর গত ১৯ মার্চ রেজিস্ট্রার আবু হাসানের স্বাক্ষরিত রেজি/প্রশাসন ২/৮১৪৫ (২৩) স্মারক নাম্বার যুক্ত এক পত্রে ওই শিক্ষার্থীকে ২২ মার্চ সকাল ৯টায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও সব মূল সার্টিফিকেটসহ উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই পদের জন্য আবেদন করান বাইশমাইলের এক ব্যবসায়ী। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার ৮ লাখ টাকার চুক্তি হয়। নির্দিষ্ট দিনে চাকরির সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য তাকে একটি চিঠি সরবরাহ করা হয়। তবে চিঠিতে রেজিস্ট্রার আবু হাসানের স্বাক্ষরটি নকল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমাকে উনি সহজে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই পদের জন্য আবেদন করতে বলেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার শর্তে তিনি ৮ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে আমি তাকে এখনো কোনো টাকা দেইনি।’

আব্দুস সামাদ নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন তো এই কাজ করি না, শরীফ এনামুল কবির স্যার যখন ভিসি ছিলেন তখন করতাম। শেখ রেহানার বেয়াই আমাদের গোপালগঞ্জ-৫ আসনের সভাপতি ছিলেন। তার কাছ থেকে একটা সাইন আনছিলাম রফিক জব্বার হলে একটা চাকরির জন্য। কিন্তু এরপর শরীফ এনামুল কবির স্যারও থাকতে পারে নাই, আমারেও চাকরি দিয়ে যাইতে পারে নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কোনো চুক্তি হয়নি, টাকা পয়সাও লেনদেনও হয়নি। আমার কি এতো ক্ষমতা আছে নাকি, চাকরি দেওয়ার? আমি এসবের সঙ্গে যুক্ত না ভাই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ‘সাক্ষাৎকারপত্রের স্বাক্ষরটি ভূয়া। এটি আমার স্বাক্ষর নয়। এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

/আহসান/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়