ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বাকৃবিতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু

বাকৃবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২৪  
বাকৃবিতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু

নবীন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নবীন শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। ৩৩ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৫ জন নবীন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের (জিটিআই) প্রশিক্ষণ কক্ষে এ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং জিটিআই।

জিটিআই এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র শিক্ষা উপদেষ্টা ড. মো. মাহামুদ-উল-হক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, প্রশিক্ষণ কর্মশালার সিনিয়র কোর্স সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব প্রমুখ।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাডুকেশন অ্যাডভাইজার ড. মো. মাহমুদ উল হক বলেন, এই প্রশিক্ষণটি নবীনদের একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। আদর্শ প্রভাষক হিসেবে সমাজে কল্যাণকর পরিবর্তন আনার বিষয়গুলো তারা শিখতে পারবেন। শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যবহার বিশ্লেষণ করে পাঠদানকে আরও কার্যকর করার পদ্ধতি তারা জানতে পারবেন। সুশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে বিদেশী শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। ক্লাসের পড়াকে হাতে-কলমে শেখাতে হবে। পুথিগত বিদ্যা শিল্প কারখানা বা মাঠ পর্যায়ে কিভাবে কাজে লাগে সেটি শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী  বলেন, শিক্ষকের নিজের শিক্ষাদানকে মূল্যায়ন করার জন্য এ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণটি সব নবীন শিক্ষকদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে আর্থিক দৈন্যতার কারণে সব নবীন শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। একজন শিক্ষক কর্মদক্ষ হবেন নাকি দায়সারা হবেন, সেটি তিনি নিজেই বেছে নেন। শিক্ষার্থীরা তাকে  নিয়ে কেমন মন্তব্য করবেন, সেটিও তিনি নির্ধারণ করে নেন। আমি আশা করছি, এ ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী নিজেদেরকে কর্মদক্ষ করে এক একটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন।

/লিখন/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়