ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩২

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে ইবি শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২১:০৯, ১১ জুলাই ২০২৪
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে ইবি শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ মেইন গেট বন্ধ করে দিলেও বাধা উপেক্ষা করে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা আধাঘণ্টা যাবৎ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, যে বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল, সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে। এজন্যই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমেছে। চাকরি পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। এর মাধ্যমে মেধাবীদের বঞ্ছিত করা হচ্ছে। সংবিধানে বলা আছে কোটা থাকবে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য। আমরা পরিপত্র খেলা আর চাই না।  আমরা চাই স্থায়ী সমাধান।  সুনির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করা হোক আমরা সেটাই চাই।

এদিকে একই দিন বিকাল ৪টায় মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি তাদের দলীয় টেন্ট থেকে বের হয়ে ইবির প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ইবিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

এ সময় ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি ছাত্রলীগ সংবেদনশীল। তবে একটা বিষয়ের সমাধানের জন্য ধৈর্য্য ধারণ করে অপেক্ষা করতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে আসুক, আমরা সেই প্রত্যাশা করি। 

তিনি আরও বলেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে এবং সরকারের প্রসিডিউরের মাধ্যমে আমরাও কোটার যৌক্তিক সংস্কার দাবি করেছি। একটি অসাধু চক্র আছে, যারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। সেই ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, যেহেতু আদালত থেকে একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেহেতু রাস্তা অবরোধ করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টির যৌক্তিকতা নেই। রাস্তায় যেন জনদূর্ভোগ সৃষ্টি না হয় তাই আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু’দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

/ইদুল/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়