ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৭ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩১

চাকসু নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময়

চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  
চাকসু নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আগামী ১০ দিনের মধ্যে চাকসু নিয়ে একটি নীতিমালা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চাকসু সংবিধান রিভিউ কমিটি এ সভার আয়োজন করে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিভিউ কমিটির প্রধান ও চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন মজুমদার এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। এছাড়া সভায় রিভিউ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চবির সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, “প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার অনেকদিন হয়ে গেলেও এখনো নীতিমালা তৈরি হয়নি। কারা কারা প্রার্থী হতে পারবে তা পরিষ্কার করতে হবে। সহ-সম্পাদক পদগুলো বাতিল করে পদ আরো বাড়ানো হোক। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক পদ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ সৃষ্টি করতে হবে।”
 
চবি রাষ্ট্রচিন্তার পক্ষ থেকে চৌধুরী তাসনিম জাহান শ্রাবণ বলেন, “এতদিনে চাকসুর নীতিমালা এবং রোডম্যাপ ঘোষণার কথা থাকলেও দুঃখজনকভাবে তা হয়নি। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চাকসু হলো একটা ক্লাবের মতো। কিন্তু চাকসুকে হতে হবে এমন একটা সংগঠন, যেটা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কথা বলবে। নির্বাচনে একজন প্রার্থীর যথাযথ যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসকে ব্যবহার করা যেতে পারে।”

চবি শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান ইমন বলেন, “লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে আরো মোডিফাই করা প্রয়োজন। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক, জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পাদকের পদ তৈরি হওয়া দরকার। নির্বাচনের স্থান হল থেকে অ্যাকাডেমিক ভবনে নিয়ে আসতে হবে। চাকসু সভাপতির একচ্ছত্র ক্ষমতা হ্রাস করতে হবে। রমজানের আগেই চাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।”

শাখা ছাত্রদলের সদস্য আইয়ুর রহমান তৌফিক বলেন, “চাকসুর সভাপতি শিক্ষার্থী থেকে নির্বাচিত হতে হবে। মেয়েদের জন্য আলাদা সহ-সভাপতি পদ এবং মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থান বিষয়ক সম্পাদক পদ তৈরি করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অপরাধে জড়িত থাকলে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। ছাত্রলীগের দোসররা যেন প্রার্থী হতে না পারে, সেদিকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।”

চাকসু সংবিধান কমিটির প্রধান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক চমৎকার মতামত পেয়েছি। আগামী তিনদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা কমিটিকে লিখিত প্রস্তাবনা দিবেন। শিক্ষার্থীদের মতামতগুলোকে সামনে রেখে আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে। এরপর সে নীতিমালা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসা হবে।”

ঢাকা/মিজান/মেহেদী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়