ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক

জাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ১০ মে ২০২৫  
ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাবি কর্মচারী আটক

ইয়াবা সেবনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১০ নৃম্বর হল (সাবেক বঙ্গবন্ধু হল) সংলগ্ন সিডনী ফিল্ড থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা শাখায় হস্তান্তর করা হয়।

আরো পড়ুন:

আটক কর্মচারীর নাম রাশেদুল হাওলাদার আলীম ওরফে শাকিল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ অফিসের বাস ক্লিনার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিডনী ফিল্ডে ইয়াবা সেবন করছিলেন শাকিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি ১০ নম্বর হল প্রশাসনকে অবগত করে। ঘটনাস্থলে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল টিম এসে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় অভিযুক্তকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। 

আটককালে অভিযুক্ত কর্মচারী শাকিল একটি মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। তবে তিনি ইয়াবা সেবনের বিষয়টি উপস্থিত শিক্ষার্থীসহ সবার কাছে স্বীকার করেন। তার কাছ থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রক্টরিয়াল টিম।

তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে রাশেদুল বলেন, “আমি আনুমানিক ৯টার দিকে সিডনি ফিল্ডে যাই। সেখানে এমনিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুজন শিক্ষার্থী আমাকে বহিরাগত ভেবে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত মনে করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি ক্যাম্পাসের স্টাফ বলে পরিচয় দিলে তারাসহ আরো কয়েকজন আমাকে ধরে নিয়ে আসে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল রকীব বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় প্রক্টর অফিসে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।”

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নিরাপত্তা শাখা আগামীকাল এ ঘটনার একটি তদন্ত রিপোর্ট দেবে। রিপোর্ট পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আমরা তা ফরোয়ার্ড করবো। রিপোর্ট অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা অভিযুক্তের সাহায্য চাওয়া ফোন নাম্বারটি ট্র‍্যাক করার জন্য ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোথাও মাদক সেবন চললে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তার আহ্বান করছি।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়