ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাকসু নির্বাচন

নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা ‌‌‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৭:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা ‌‌‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সদস্যরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল।

নির্বাচন কমিশনকে ইঙ্গিত করে প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী স্মরণ এহসান লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, “এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি। আমরা বলতে চাই, তারা শুরু থেকেই আমাদের আস্থা, ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা নষ্ট করেছে।”

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতি চলছে। এই অনিয়মের শুরু সম্প্রীতির ঐক্যের ভিপি প্রার্থী অমর্ত রায়ের প্রার্থিতা জোরপূর্বক এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করার মাধ্যমে। এই অনিয়মের ধারাবাহিকতায় আজ ভোট গ্রহণের চূড়ান্ত অনিয়ম এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।”

শরন এহসান বলেন, “এর আগে ডোপ টেস্ট ইস্যুতে অনেক প্রার্থী ডোপ টেস্ট না করেও প্রার্থী হয়েছেন, যে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। আমরা সকাল থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে সকাল থেকেই নানান ধরনের অভিযোগ পাওয়া শুরু করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের চূড়ান্ত রকম ভরসা ও আস্থার জায়গা হারিয়েছে। আজকে সকাল থেকে যখন ভোটগ্রহণ শুরু হলো, অনেক কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট সংক্রান্ত অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ বুধবার রাত ২টার পরে আমাদের জানানো হয়েছে, আমরা কেন্দ্রগুলোতে পোলিং এজেন্ট রাখতে পারব। কিন্তু সকালে যখন হলে হলে আমাদের পোলিং এজেন্ট গেছে, তাদের নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। তাদের নানাভাবে অনুৎসাহিত করা হয়েছে।”

শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে স্মরণ এহসান বলেন, “প্রায় প্রতিটি হলেই ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা নিজ প্রার্থীদের নাম সম্বলিত চিরকুট বিলি করেছেন, যার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। জাহানারা হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে নজরুল হলে, কাজী নজরুল হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সব প্রার্থীর নাম না থাকায় সেখানে প্রথমে বাকি প্রার্থীদের নাম ছাড়াই নির্বাচন চলতে থাকে এবং পরে হাতে লিখে প্রার্থীদের নাম ব্যালট পেপারে যোগ করা হয়েছে। এসব অনিয়মে আমরা মনে করছি-এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করছি।”

ঢাকা/সাব্বির/সাইফ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়