চার প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন
শাটডাউনের মধ্যে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না
রাজশাহী প্রতিনিধি ও রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন হতে পারে না বলে মনে করেন চারটি স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে ওই চার প্যানেলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে মোট ১১টি প্যানেলের মধ্যে সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, রাকসু ফর র্যাডিকেল চেঞ্জ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ থেকে ভিপি পদপ্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক তাসিন খান।
তিনি বলেন, “২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে রাকসুর প্রচার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু, পোষ্য কোটাকে সামনে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে; সেখানে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলেই পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে আছে, যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়। রাকসু আমরা চাই, রাকসু দিতে হবেই। নির্বাচন কোনোভাবেই বন্ধ করা চলবে না। কিন্তু, নির্বাচনের প্রাণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ না হলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।”
তাসিন খান বলেন, “পোষ্য কোটা ইস্যুতে ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে শিক্ষার্থীরা বাসায় যাওয়া শুরু করেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছুটির পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত এই কমপ্লিট শাটডাউন আমাদের সকল প্যানেলের, সকল সতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচনকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ, আনন্দমুখর পরিবেশে রাকসু নির্বাচন; সে পরিস্থিতি এখন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে কমপ্লিট শাটডাউনে রেখে কোনোভাবে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না। এটা রাকসু নির্বাচন বানচালের সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, “রাকসু নির্বাচন হতে হবে এবং কোনোভাবে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তবে, ক্লাস বন্ধ রেখে, শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসবিমুখ রেখে কোনোভাবে রাকসু নির্বাচন হতে পারে না। সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু রাকসু নির্বাচন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অতি দ্রুত পোষ্য কোটা ইস্যু মীমাংসা করে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।”
আরো বলা হয়, “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রেখে রাকসু নির্বাচন করতে হবে। আমরা কোনোভাবে আমাদের প্রাণের রাকসু নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচন হতে দিতে চাই না। ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল পরিবেশ, কমপ্লিট শাটডাউন, পূজার ছুটি—সবকিছু বিবেচনা করে রাকসু নির্বাচন কমিশনারকে পরবর্তী পদক্ষেপ অতি দ্রুত নিতে হবে।”
তাসিন খান বলেন, “কোনোভাবে রাকসু নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল করে রাকসু নির্বাচন দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেলগুলোর তাপসি রাবেয়া হল, সোহরাওয়ার্দী হল, জিয়া হল, বিজয় ২৪ হল ও সৈয়দ আমির আলি হল সংসদের পদপ্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/ফাহিম/রফিক