ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাবিতে চলমান শাটডাউনের প্রতিবাদে শিবিরের মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৭:১৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাবিতে চলমান শাটডাউনের প্রতিবাদে শিবিরের মানববন্ধন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ কর্মসূচির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রশিবির।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, “শাটডাউন কর্মসূচি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে জিম্মি করা হচ্ছে। বহু আগেই নিষ্পত্তি হওয়া পোষ্য কোটা ইস্যু আবার সামনে এনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “একইসঙ্গে একটি ছাত্র সংগঠন তাদের মাদার সংগঠনের সহায়তায় নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে রাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মূলত এ ধরনের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা এবং দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত নির্বাচন বানচাল করা ছাড়া আর কিছু নয়।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত রাকসু নির্বাচন বানচাল করা ও শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি গোষ্ঠী পোষ্য কোটার মতো মীমাংসিত একটি ইস্যু সামনে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অচল করে দিয়েছে। কতিপয় শিক্ষক তাদের রাজনৈতিক ব্যানারে সক্রিয় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করছে।”

তিনি বলেন, “কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের এ ধরনের শাটডাউন কর্মসূচি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তারা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চাচ্ছে, যদি আবারো ক্লাস, পরীক্ষা, লাইব্রেরি ও রাকসু নির্বাচনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চালু করতে চাও, তবে অবশ্যই তাদের ‘পোষ্য কোটা’ মেনে নিতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “একটি ছাত্র সংগঠন তাদের মাদার সংগঠনের সহায়তায় রাকসু নির্বাচন বানচাল করার ফন্দি আঁটছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রও অব্যাহত রেখেছে তারা।”

এদিকে, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার’ বিচার নিশ্চিত ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার (পোষ্য কোটা) দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এই কর্মসূচি পালন করছেন। এতে পাঠদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থান নেন তারা। গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে সভা করেও সমাধান না হওয়ায় তাদের এই কর্মবিরতি পালন করতে দেখা যায়।

পরে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় অফিসার সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে চলমান ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি সাত দিনের জন্য স্থগিত কথা জানায়।

তবে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থী দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও নামধারী কিছু ছাত্র আমাদের সহকর্মীদের আটকে রেখেছিল। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়