কাল ভোট, চলছে রাকসু ভবন প্রস্তুতের কাজ
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
রাকসু ভবন প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচন রাত পোহালেই। শেষ মুহুর্তে চলছে রাকসু ভবন প্রস্তুতের কাজ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভবনটির ১৩টি কক্ষ প্রস্তুত করতে অন্তত ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনে রাকসুর দোতলা ভবন। ভবনে রাকসুর ভিপি হিসেবে সবশেষ নিজের কক্ষে বসেছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৯০-১৯৯১ সালের জন্য। পরের বছর নির্বাচন না হওয়ায় ১৯৯১-১৯৯২ মেয়াদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তারপর আর কোনো ভিপি পায়নি রাকসু ভবন।
রাকসু অচল হয়ে পড়ায় এতদিন ভবনটির কক্ষ ব্যবহার করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। দোতলায় ভিপির কক্ষটি ব্যবহার হচ্ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয় হিসেবে। কয়েকদিন হলো সব সংগঠনকেই ভবন ছাড়তে হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ভবনটিতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি কক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঘষামাজার কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ দেয়ালগুলো নতুন রঙ করার কাজও শুরু করেছেন।
শ্রমিকরা জানান, বুধবার সকালেই তারা কাজ শুরু করেছেন। তাদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।
আব্দুল ওয়াহাব নামের একজন ঠিকাদার জানান, তারা মোট পাঁচজন ঠিকাদার কাজ করছেন। মঙ্গলবার রাতে তাদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে তারা ৫০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে তাদের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে রাতেও তারা কাজ করবেন। শুক্রবার সকালের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে বলে তারা আশা করছেন।
ভবনের দোতলার বারান্দায় কেন্দ্রীয় সংসদের অনার বোর্ডটি চোখে পড়ল। এতে দেখা যায়, ১৯৭২-৭৩ সালে হায়দার আলী, ১৯৭৩-৭৪ সালে নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ১৯৭৪-৭৫ সালে ফজলুর রহমান পটল, ১৯৮০-৮১ সালে ফজলে হোসেন বাদশা ও ১৯৮৯-৯০ সালে রাগিব আহসান মুন্না ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া ১৯৯০-৯১ সালের জন্য ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রুহুল কবির রিজভী। পরে আর নির্বাচন না হওয়ায় ১৯৯১-৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বৃহস্পতিবার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।
ঢাকা/কেয়া/মেহেদী