ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ২২ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

কেএমএ হাসনাত : কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৭০ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

আগামী বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২৮ মার্চ সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির বৈঠকে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৬ দশমিক ৫০ লাখ টন এবং বছরান্তে সমাপনী মজুদ ৮ লাখ টনসহ মোট ৩৪ দশমিক ৫০ লাখ টন মজুদ নির্ধারণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ইউরিয়া সার সংগ্রহ পরিকল্পনা শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে গত ৯ জুন। এ পরিকল্পনায় কাফকো থেকে ৫ দশমিক ৫০ লাখ টন ইউরিয়া সার কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

সূত্র জানায়, কাফকো থেকে ইউরিয়া সার কেনার ক্ষেত্রে ফ্রেইটের প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে বিসিআইসি তথা সরকারে ফ্রেইট খাতে অর্থ সাশ্রয় হয়। কাফকোর সঙ্গে বিসিআইসির ২০০২ সালে সম্পাদিত চুক্তি এবং ২০০৫ সালের সংশোধিত চুক্তির ধারাবাহিকতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার কেনার জন্য প্রস্তাব করেছে বিসিআইসি।

কাফকোর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় বিসিআইসি কর্তৃক মূল্য নির্ধারণ ফর্মুলা (আন্তর্জাতিক দরের ভিত্তিতে) অনুযায়ী, কাফকোকে প্রথম লটের ইউরিয়ার দর প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। কাফকো নির্ধারিত তারিখে প্রথম লটের ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়ার দর প্রস্তাব পাঠায়। চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তাব দাখিলের পূর্ববর্তী সপ্তাহে এফএমবি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস গাইড, ফার্টিকন নাইট্রোজেন রিপোর্ট, দ্য মার্কেট এবং দ্য প্রোফারসি রিপোর্টে প্রকাশিত এরাবিয়ান গালফ/মিডল ইস্টের গড় দর বিবেচনায় সারের দাম নির্ধারণ করার বিধার আছে। সে অনুযায়ী বিবেচ্য প্রথম লটের দরের ক্ষেত্রে গত ২৭ জুন প্রকাশিত বুলেটিনের এফওবি দর প্রযোজ্য হবে।

গত ২৭ জুন তারিখে এফএমবি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস গাইডে প্রতি টন সারের দাম ছিল ২৪৩ দশমিক ২৯০ ডলার, গড় দাম ছিল ২৬৬ দশমিক ৫০ ডলার। ফার্টিকান নাইট্রোজেন রিপোর্টে প্রকাশিত দর ছিল ২৩৫ দশমিক ২৯০ ডলার, গড় দাম ছিল ২৬২ দশমিক ৫০ ডলার। দ্য মার্কেটে প্রকাশিত দর ছিল ২৮৭ দশমিক ২৯০ ডলার, গড় দাম ছিল ২৮৮ দশমিক ৫০ ডলার। দ্য প্রোফারসি রিপোর্টে প্রকাশিত দর ছিল ২৪৮ দশমিক ২৯০ ডলার, গড় দাম ছিল ২৬৯ ডলার। অর্থাৎ প্রতি টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সারের গড় দাম ছিল ২৭১ দশমিক ৬২৫ ডলার।

চুক্তি অনুযায়ী, গড় দামের সঙ্গে প্রতি টনের ব্যাগিং চার্জ যোগ হবে ৫ ডলার। সে হিসেবে এফওবি (কাফকো ব্যাগিং হাউজ) ভিত্তিতে প্রতি টন গ্রানুলার ইউরিয়া সারের দাম পড়বে ২৭৬ দশমিক ৬২৫ ডলার। সে হিসেবে ৩০ হাজার টন সার কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭০ কোটি ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৭৫ টাকা।

সূত্র জানায়, ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদিত হলে মন্ত্রণলয় থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুলাই ২০১৯/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়