ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, সব বিবেচনায় বাংলাদেশের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করা জরুরি। তবে জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দিয়েই এটা করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর দ্য ওয়েস্টইন হোটেলে বৈশ্বিক মুক্তবাণিজ‌্যের প্রসার সংক্রান্ত সেমিনারে টিপু মুনশী এ কথা বলেন। কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেট (সিআইএস) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল ওয়ালটন।

টিপু মুনশী বলেন, ‘এফটিএ করলে আমাদের রেভিনিউ হারাতে হবে। তবে চূড়ান্ত বিবেচনায় এটি আমাদের জন্য লাভজনক হবে। আমরা গেইন করব।’

তিনি বলেন, সিআইএস আমাদের জন্য একটা ভালো মার্কেট। আমেরিকা থেকেও রাশিয়াতে পণ্যের দাম বেশি। কিন্তু এখানে মানুষের কেনার সক্ষমতা বেশি। অথচ এই মার্কেটে আমরা ঢুকতে পারছি না। কারণ ব্যাংকিংসহ নানা সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধান করতে হবে। রাশিয়ার সঙ্গে এফটিএ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তারা শুধু টাকা বাড়ানোর কথা চিন্তা করে। এটা করলে হবে না। আগে রাজাদের লাঠিয়াল বাহিনী ছিল। তারা গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে খাজনা আদায় করত। এরকম লাঠিয়ালদের মতো কাজ না করে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের ব্যবসা নীতি অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। বর্তমানে দেশে ব্যবসার চমৎকার পরিবেশও রয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বৈদেশিক ব্যবসা বাড়াতে গেলে আমাদের করেসপন্ডিং ব্যাংক করতে হবে। আমাদের বাণিজ্য, অর্থ, পররাষ্ট্র, শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো মিলে একটা সমন্বয় সেল গঠন করে প্রোটোকল বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনেটভি বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরের দিকে তাকালে উন্নয়ন দেখা যায়। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া মূলত টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার জাতীয় পণ‌্য নেয়। তবে আমি পরামর্শ দেব, আপনার আরো আপগ্রেডেড হোন। অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করুন। তবে সস্তা কিছু না। উন্নত মানের পণ্য রাশিয়ায় পাঠান।’ 

সেন্টার ফর পলেসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না। এই সংস্থা বাংলাদেশকে কোন দেশের সাথে ফ্রি ট্রেড চুক্তি করিয়ে দিতে পারবে না এবং এর কোনো ক্ষমতাও নেই। ভেবে দেখুন, ২০২৭ সালের পর ইউরোপে যখন জিএসপি থাকবে না, তখন বাংলাদেশের কি হবে? অথচ প্রতিযোগী ভিয়েতনাম কিন্ত এখনই ইউরোপের সাথে ফ্রি ট্রেড চুক্তি করেছে। শুধু ভিয়েতনামই নয়, প্রতিযোগী অন্যান্য দেশও পারস্পরিক ফ্রি ট্রেড চুক্তি করছে। অথচ এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখছি, কারো সাথেই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ফ্রি ট্রেড চুক্তি নেই।’

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিআইএস-বিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট হাবিব উল্লাহ ডন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমই'র সহ সভাপতি ফয়সাল সামাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান প্রমুখ।


ঢাকা/নূর/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়