ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেবে এইচএসবিসি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেবে এইচএসবিসি

প্রথমবারের মতো এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ‌্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)।

শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ‌্য জানান ব্যাংকটির ডেপুটি সিইও অ্যান্ড কান্ট্রি হেড অব হোলসেল মো. হাবিব উর রহমান।

তিনি বলেন, মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের নমিনেশন ফরম পূরণের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সার্বিক সহায়তার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে নানা বৈশ্বিক সম্ভাবনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিচ্ছি।

এইচএসবিসি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন তালুকদার নোমান আনোয়ার বলেন, দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ উদ্যোগ। বিজয়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান, সামাজিক দায়িত্ববোধ, পরিচালন প্রক্রিয়া, ডাইভারসিটি ও রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স প্রভৃতি বিচার করা হবে।

চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নমিনেশন জমা দেয়া যাবে এবং আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে ওয়েবসাইটে।

অ্যাওয়ার্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে- বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বা ডিআইটি।

নমিনেশন বাছাইয়ে বিচারক প্যানেলে থাকবেন এইচএসবিসি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিম, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিআইটি নির্বাচিত সদস্যরা।

যেসব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে : রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (তৈরি পোশাক শিল্প)- যাদের বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি, তারা এ পুরস্কারের জন‌্য বিবেচিত হবেন। রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (সাপ্লাই চেইন ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ)- বার্ষিক রপ্তানি আয় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি হলে এ পুরস্কারের জন‌্য বিবেচিত হবেন। রপ্তানিতে এক্সিলেন্স (অসনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্র)- বার্ষিক রপ্তানি আয় ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি (তৈরি পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইলস ব্যতীত)। আমদানি বিকল্প শিল্পে অসমান্য অবদান (আমদানি বিকল্প পণ্যের পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও তার বেশি)। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগে অসামান্য অবদান (বৈদেশিক বিনিয়োগ হতে পারে মূলধন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সংক্রান্ত ইত্যাদি)। ইনফ্রাস্ট্রাকচার এক্সিলেন্স (নির্দিষ্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান ও জিডিপি উন্নয়নে কার্যকর অবদান রেখেছে এমন প্রতিষ্ঠান)। স্পেশাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (এমন ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান যারা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন, ইনোভেশন এনেছেন, এক্সিলেন্স ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক অবদান রেখেছেন)।


ঢাকা/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়