ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘পুঁজিবাজার পড়ে গেলে আমাদের দোষারোপ করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পুঁজিবাজার পড়ে গেলে আমাদের দোষারোপ করা হয়’

সেকেন্ডারি মার্কেট পড়ে গেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) দোষারোপ করা হচ্ছে। রেগুলেটর হিসেবে এখানেই অসহায়ত্ববোধ আমাদের।

মন্তব্য করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন। বুধবার বিএসইসির কনফারেন্স কক্ষে ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টস অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিটেকশন অব ফ্রড শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্যে করেন তিনি।

ড. খায়রুল হোসেন বলেন, ‘কোম্পানির মধ্যে অডিট কমিটির প্রধান হবেন একজন স্বাধীন পরিচালক। এছাড়া কোম্পানির সিএফও, এমডি, চেয়ারম্যান সবার কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরে ডিসক্লোজার ভিত্তিতে আইপিও দেওয়ার পরে সমস্ত দোষ কমিশনের ওপর পড়ছে। সেকেন্ডারি মার্কেট পড়ে গেলেও কমিশনকে দোষারোপ করা হয়। অথচ এই মার্কেটে আমাদের বিনিয়োগ নেই। আমরা এই মার্কেটে কারসাজি হলে ধরি, ডিমান্ড-সাপ্লাই ঠিক রাখি এবং এখানে যদি কেউ গুজব ছড়ায় তাদেরকে আইনের আওতায় আনি। তারপর মার্কেট ওঠানামা করার জন্য আমাদেরকে সমস্ত দোষ দেয়া হয়। রেগুলেটর হিসেবে এখানে অসহায়ত্ববোধ আমাদের।’

বিএসইসির এরিয়া অব কাভারেজ বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ে অনেক বড় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা শুধু ব্যাংক এবং নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন নিয়ে কাজ করছে। তাদের সেখানে প্রায় ৮ হাজার জনবল রয়েছে। অথচ আমাদের মাত্র ৮৪ জন অফিসার। আর পিয়ন দারোয়ান নিয়ে আমরা ১৬০ জন কাজ করি।’

ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট অ্যানালাইসিসের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের প্রাধান্য দিয়ে আজকে এই সভা আয়োজন করেছি। আমি বারবার বলি সমাজে, ক্যাপিটাল মার্কেটে (পুঁজিবাজার) এবং অর্থনীতিতে কী ঘটছে এগুলোকে জনগণের সামনে তুলে ধরার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো সাংবাদিকরা।’ সাংবাদিকদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্লিয়ার করার জন্যই আজকের এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিনিয়োগের পূর্বে বিনিয়োগকারীদের অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী দেখে, এ কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড পে করার অ্যাবিলিটি কী। তারা আরেকটা জিনিস দেখবে, তা হলো কোম্পানিটির ইনকাম জেনারেশন এবং ক্যাশ ফ্লো কী হবে। এরপর বিনিয়োগকারী যদি কিছু দেখে তা হলো- কোম্পানিটির অতীত কী ছিল, বর্তমান পারফরম্যানস কী এবং ভবিষ্যতটা কী। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সেক্টরের মধ্যে কোম্পানিটির অবস্থা কী এবং ইনভেস্ট করা যাবে কি না।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সিকিউরিটি মার্কেটিংয়ের (বিএএসএম) ডিজি মো. মাহবুবুল আলম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক কামরুল আনাম খান, এফআরসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শুভ্র কান্তি চৌধুরী, সিএমজেএফের প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

 

ঢাকা/মোহাম্মদ/বুলাকী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়