ঋণ অনুমোদন নবায়নের ফাইল বাধ্যতামূলক সংরক্ষণের নির্দেশ

ঋণ অনুমোদন নবায়নের ফাইল বাধ্যতামূলক সংরক্ষণ করতে হবে। আর্থিক খাতে ঋণের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর নিকট পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আর্থিক খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এবং অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়ন করতে আগে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত কোন জনস্বার্থ সংস্থার অনুকূলে ব্যাংক কর্তৃক ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের সময় বাধ্যতামূলকভাবে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মাধ্যমে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রণীত হালনাগাদ অডিট রিপোর্ট গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে।  এক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের ক্ষেত্রে অন্য যেসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা থাকবে তাও যথাযথভাবে ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) সেক্টরে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় এবং এ সেক্টরে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,  সিএমএসএমই সেক্টরের কটেজ (সি), মাইক্রো (এম) এবং ক্ষুদ্র (এস) সাব-সেক্টরের যেসব প্রতিষ্ঠান ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ২(৮) ধারায় উল্লেখিত সংজ্ঞানুযায়ী জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ অনুমোদন বা নবায়নের সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মাধ্যমে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রণীত সংবিধিবদ্ধ অডিট রিপোর্ট গ্রহণ করে তা ঋণ ফাইলে সংরক্ষণ করতে হবে।  আর তা ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে যথাযথভাবে ঋণ ফাইল সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া গত জানুয়ারিতে জারি করা নির্দেশনার অন্যান্য নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।  ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।