ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পোশাক খাতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি পূরণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৮, ২৯ জুন ২০২১  
পোশাক খাতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি পূরণ হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, তৈরি পোশাক খাতে দক্ষ জনশক্তির বিপুল চাহিদা রয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী দেশে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি নেই। বিদেশীকর্মীরা আমাদের ব্যবস্থাপনার এ ঘাটতি পূরণ করে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত মিড-লেভেল ম্যানেজার ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্স চালুর লক্ষ্যে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষে মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এবং বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি এর পক্ষে ড. প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার মো. আইয়ুব নবী খান।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এফবিসিসিআই এর সহসভাপতি এম এ মোমেন, বিকেএমইএ এর ১ম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং বিইউএফটি এর বোর্ড অফ ট্রাস্ট্রিজ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর উদ্দিন সিদ্দিক। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য আমাদের দেশেই দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা সম্ভব।   পোশাক খাতের উদ্যোক্তরা এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) গড়ে তোলে। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়। এখানে শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ব্যবস্থাপনার   প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি বাড়াতে যেসব খাতে সহযোগিতা প্রয়োজন, সরকার তা দিতে বদ্ধ পরিকর। তৈরি পোশাক খাতকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে সরকার।

তিনি বলেছেন, পোশাক বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি খাত। আমাদের রপ্তানির প্রায় ৮৪ ভাগ আসে পোশাক খাত থেকে। আশা ছিল ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। করোনার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।  আশা করা যায় আগামী ২০২৪-২৫ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

স্বাক্ষরিত এ চুক্তির আওতায় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) গার্মেন্টস বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যান্যুফ্যাকচারিং সিস্টেম, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এ তিনটি বিষয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম করবে। প্রতিটি কোর্সে ৩৫ জন করে মোট ১০৫ জন প্রশিক্ষার্থী এ কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।  প্রতি কোর্সের মেয়াদ হবে ৬ মাস।  বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এ কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী নির্ধারণ করবে।  বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দেবে।

হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়