ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৪ সিটিতে ডিএসই’র ব্রোকারদের প্রধান অফিস সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৬, ৩১ আগস্ট ২০২১  
৪ সিটিতে ডিএসই’র ব্রোকারদের প্রধান অফিস সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের প্রধান অফিসের শাখা ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ), চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ফলে এই তিন বিভাগের যেসব সিটি করপোরেশন এলাকায় ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান অফিস রয়েছে, সেখানে যে কোনো জায়গায় প্রধান অফিসের শাখা স্থাপনের ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইলো না।

বিএসইসির এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা অফিস স্থাপনের ঝামেলা কমবে। পাশাপাশি ওই এলাকার মানুষজন শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বিএসইসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়টি ডিএসইকে অবহিত করতে বিএসইসির নিবন্ধন বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএসইসির নিবন্ধন বিভাগ।

এর আগে যেসব সিটি করপোরেশন এলাকায় ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান অফিস রয়েছে, সেই এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রধান অফিসের শাখা স্থাপনের বিধান ছিল। তবে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর ডিএসইর প্রধান অফিস মতিঝিল থেকে নিকুঞ্জে স্থানান্তরিত হয়। ফলে এরপর থেকে ব্রোকারেজ হাউজগুলো তাদের প্রধান অফিসের শাখা সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে যে কোনো জায়গায় স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই প্রস্তাবের আলোকেই ৩টি বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান অফিসের শাখা সম্প্রসারণ করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বিএসইসি। ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার প্রতিবন্ধকতা কাটে। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে মহাধসের এক বছর পর ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তৎকালীন বিএসইসি’র কর্তাব্যক্তিরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারদের প্রধান অফিসের শাখা বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। তবে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারদের জন্য এ ধরনের সুবিধা ছিল না। তাই উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারদের প্রধান অফিসের শাখা বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একই ধরনের সুবিধা প্রদান করতে বিএসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এ বিষয়ে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান অফিসের শাখা বা শাখা অফিস খোলার ক্ষেত্রে আগে অনেক সময়ক্ষেপণ হতো। অনেক ফরমালিটি লাগতো। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান অফিসের শাখা স্থাপনের জন্য এখন আর কোন ঝামেলা হবে না। ডিএসইর কাছে আবেদন করে প্রধান অফিসের শাখা সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে যে কোনো জায়গায় স্থাপন করা যাবে। ফলে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ তৈরি হবে।’

শেয়ার কেনাবেচা করার জন্য চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা ছিল ২৫০টি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে প্রথম দফায় ৩০টি, ২১ জুন দ্বিতীয় দফায় ২৬টি এবং ২৬ আগস্ট তৃতীয় দফায় আরো ৯টি নতুন ব্রোকারেজ হাউসের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। ফলে ডিএসইর মোট ব্রোকারেজ হাউসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৫টি। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছে ট্রেক সনদ হস্তান্তর করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

ঢাকা/এনটি/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়