দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়ছে

দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনের দামও বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন করেন মন্ত্রী।

নতুন প্রস্তাবের ফলে দেশীয় মোবাইল ফোনের দাম বাড়লে আগামী ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে।

বাজেটে অর্থমন্ত্রী তিন ধরনের দেশি কোম্পানির মুঠোফোনের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছেন।

প্রথমত, যেসব প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই বানাবে এবং মুঠোফোন উৎপাদন করবে, সেসব কোম্পানির ওপর ২ শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে। এখন এ ক্ষেত্রে কোনও ভ্যাট নেই।

দ্বিতীয়ত, যেসব প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন সংযোজন করে, তাদের ক্ষেত্রে দুভাবে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেমন কমপক্ষে দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা বানিয়ে মুঠোফোন বানালে এখন ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়, এখন তা বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তৃতীয়ত, যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু দেশে সংযোজন করে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে, এখন ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই প্রস্তাবের মেয়াদ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। ফলে তখন গ্রাহক পর্যায়ে মুঠোফোনের দাম কিছুটা বাড়ে। এখন নতুন করে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করার ফলে দাম আরও বাড়তে পারে।

দেশে এখন ১৪টি প্রতিষ্ঠান মুঠোফোন উৎপাদন করছে। দেশে বছরে স্মার্টফোনের চাহিদা এক কোটির মতো। এর অধিকাংশই মেটানো হয় দেশে উৎপাদিত মুঠোফোনের মাধ্যমে। এসব প্রতিষ্ঠান  ওয়ালটন, স্যামসাং, অপো, বিভো, টেকনো, সিম্পনি, লাভা, শাওমি, নোকিয়া, রিয়েলমি এসব ব্র্যান্ডের মুঠোফোন উৎপাদন করে।

অর্থমন্ত্রী আজ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন। জাতীয় সংসদে ‘দেড় দশকের উন্নয়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতা দেন তিনি।

এটি দেশের ৫২তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।