ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালন করেছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড

প্রেস বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৫ জুন ২০২৩  
‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালন করেছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড

বিশ্ব বিখ্যাত আমেরিকান কসমেটিক্স ব্র্যান্ডের একমাত্র উৎপাদনকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ফ্যাক্টরির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৩, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বাউশিয়ায় পালিত হয়েছে। 

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে UNEP কর্তৃক নির্ধারিত এবছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে , ‘Solutions to Plastic Pollution’ প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে, শামিল হই সকলে এবং স্লোগান হচ্ছে ‘Beat Plastic Pollution’ ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’। এই বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের ৫০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্যাক্টরির অপারেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর আলম সরকার, স্টেট ডিপার্টমেন্টের হেড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফুরকান উদ্দিন, এইচআর অ্যান্ড এডমিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মো. শিবলী সাদিক, এইচএসই ডিপার্টমেন্ট, মেইনটেনেন্স ডিপার্টমেন্ট, প্যাকেজিং ডিপার্টমেন্ট, স্টোর ডিপার্টমেন্ট, টিএসডি ডিপার্টমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট, সিভিল কনস্ট্রাকশন ডিপার্টমেন্টসহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালি পরবর্তী ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে ফ্যাক্টরির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষে সবার উদ্দেশে বিশেষ বক্তব্য পেশ করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যের শুরুতে এইচএসই ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, পরিবেশবান্ধব উপকরণ পচনযোগ্য অথবা পুনর্ব্যবহারযোগ্য (Biodegradable or Reusable) পণ্য দ্বারা প্লাস্টিক উপকরণ প্রতিস্থাপন করার জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে আমাদের 4R (Refuse, Reduce Reuse, Recycle) মূলনীতি অনুসরণ করতে হবে। পরবর্তীতে এইচআর অ্যান্ড এডমিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মো. শিবলী সাদিক বলেন, প্লাস্টিকের রাসায়নিক সংযোজন অন্তঃস্রাবের ব্যাঘাত, প্রজনন সমস্যা, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হাঁপানি এবং এমনকি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই প্লাস্টিক বর্জ্য বন্ধ বা হ্রাস (Beat Plastic Pollution) করতে হলে সরকারিভাবে, বাণিজ্যিকভাবে এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে একবার ব্যবহৃত (Single use) প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন, মজুত, বাজারজাত ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বন্ধ করতে হবে। 

সমাপণী বক্তব্যে ফ্যাক্টরির অপারেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর আলম সরকার বলেন, বর্তমানে প্লাস্টিক দূষণ মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পৃথিবীর যত্রতত্র প্লাস্টিক পণ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পরিবেশের বিশেষ ক্ষতি করছে। সংগ্রহহীন ও অব্যবস্থাপনাযোগ্য সব প্লাস্টিক বর্জ্য পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি করছে। মাটির সাথে মিশে জমির উর্বরতা নষ্ট করছে। প্লাস্টিক বর্জ্য ভূমি দখল করে গাছ-গাছালি ও কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস করছে, পরিবেশ নোংরা করছে; যত্রতত্রভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোয় মারাত্মক বায়ু দূষণের সৃষ্টি করছে এবং নদী, হ্রদ ও মহাসাগরে প্রবেশ করে সামুদ্রিক জীবনকে বিপন্ন করছে। সমুদ্রের পানিতে মিশ্রিত মাইক্রোপ্লাস্টিক সামুদ্রিক মাছ ও খাওয়ার লবণের মাধ্যমে মানবদেহে ফিরে আসছে এবং মানবদেহে মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। 

তিনি বলেন, আমাদের দৈনন্দিন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিপরীতে পচনযোগ্য এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা হলে এবং ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ধীরে ধীরে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার হ্রাস পাবে। ফলে প্লাস্টিক বর্জ্যেরও উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকবে। 

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়