ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

মাস্টার ফিডের প্রয়াত পরিচালকের স্ত্রীর শেয়ার-টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫১, ২৪ জুলাই ২০২৩   আপডেট: ১৬:৫১, ২৪ জুলাই ২০২৩
মাস্টার ফিডের প্রয়াত পরিচালকের স্ত্রীর শেয়ার-টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সব ব্রোকারেজ হাউজ পরিদর্শন ও তদন্তের নির্দেশনা দেয় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধে শেয়ার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন এসএমএস প্ল্যাটটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেকের প্রয়াত পরিচালক রফিকুল আলমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন। এর প্রতিকার চেয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি।  

চিঠিতে উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন বলেছেন, গত বছরের ১৫ জুলাই আমার স্বামী (মাস্টার ফিডের পরিচালক) মারা যান। ফলে, আদালতের রায়ে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট অনুযায়ী স্বামীর মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ বা ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০০টি শেয়ার পাই আমি, যা নিজের নামে নিতে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের মতিঝিল শাখায় একটি বিও অ্যাকাউন্ট হিসাব খুলি। বিও আইডি নম্বর ১২০৪৪৩০০৭৫৮৭৪৯৪৯। পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুমোদনক্রমে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে ওই বিও হিসাবে শেয়ার স্থানান্তর করা হয়। এর পরে পর্যায়ক্রমে শেয়ার বিক্রি করে ও বিভিন্ন তারিখে ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও মো. কাউসার আল মামুনের অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করি। এক্ষেত্রে গত ১৪ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করি। কিন্তু, এর পরে অজ্ঞাত কারণে সিইও কাউসার আমার পরিচয় নিয়ে অহেতুক অজুহাত তৈরি করে টাকা দিতে বিলম্ব করার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন।

এর ধারাবাহিকতায় উম্মে হাবিবা গত ১৭ জুলাই তার বাবা, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া মো. আবুল বাসার এবং মাস্টার ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কবীর হোসেনকে নিয়ে ফার্স্ট ক্যাপিটালে যান। শেয়ার বিক্রির টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণ জানতে চাইলে মো. কাউসার আল মামুন তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। 

উম্মে হাবিবার পরিচয় নিয়ে বারবার সন্দেহ প্রকাশ করেন কাউসার আল মামুন। তিনি বলেন, আপনি উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন না এবং আপনার সাথের ব্যক্তি আপনার পিতা নন, এগুলো সব সাজানো নাটক। তখন তাকে প্রমাণ হিসেবে সব কাগজ মিলিয়ে দেখতে বলেন উম্মে হাবিবা। কিন্তু, কাউসার আল মামুন তা করতে রাজি হননি এবং অপমানজনক ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্থা করেন। 

চিঠিতে উম্মে হাবিবা আরও বলেন, ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও'র আচরণ কাম্য ছিল না, যা উনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখলেই প্রমাণিত হবে। আমি প্রমাণ হিসেবে বিএসইসিতে স্বামী রফিকুল আলমের মৃত্যু সনদ, আদালতের উত্তরাধিকার আদেশ, ডিএসইর অনুমোদন কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, ফান্ড রিকুইজিশন স্লিপ এবং কাবিননামার কাগজ জমা দিয়েছি। 

এনটি/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়