ঢাকা     রোববার   ১৩ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৯ ১৪৩২

এনবিআর চেয়ারম্যানকে ২৯ মের মধ্যে অপসারণে আলটিমেটাম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৬:৩৬, ২৬ মে ২০২৫
এনবিআর চেয়ারম্যানকে ২৯ মের মধ্যে অপসারণে আলটিমেটাম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে আগামী বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) মধ্যে অপসারণের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার শুরু থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে লুকোচুরি ও চরম অসহযোগিতা অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, উপকমিশনার রইসুন নেসা, শাহাদাত জামিল শাওন ও শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী।

আরো পড়ুন:

উপকমিশনার শাহাদাত জামিল বলেন, “জারিকৃত অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার শুরু থেকে প্রতিটি ধাপে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান লুকোচুরির আশ্রয় নিয়েছেন ও চরম অসহযোগিতা করেছেন। সরকারকে ভবিষ্যৎ রাজস্ব কাঠামো নিয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার কথা জানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।”

তিনি বলেন, “আগামী ২৯ মের মধ্যে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট তৈরি হওয়ায় এই দাবির ধারাবাহিকতায় ইতিপূর্বে ঘোষিত লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত থাকবে।”

এনবিআর চেয়ারম্যান প্রসঙ্গে শাহাদাত জামিল বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী প্রশাসনের এই কর্মকর্তা তার পূর্ববর্তী পদে থাকা অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ জুলাই পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে কর ফাঁকি বিষয়ে সহযোগিতা করতে এনবিআরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অডিট কার্যক্রম বন্ধ করেন। এছাড়া নজিরবিহীনভাবে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অযৌক্তিক এবং অপরিকল্পিতভাবে ভ্যাট হার বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন।তিনি বিভিন্ন উপায়ে সরকারের সঙ্গে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের গঠনমূলক ও সার্থক আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।”

উপকমিশনার রইসুন নেসা বলেন, “আমরা দেশবাসীকে কথা দিয়েছিলাম, আমাদের দাবি আদায় হলে আমরা নির্ধারিত অফিস সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে কাজ করে অনিষ্পন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনের নিরিখে অফিস সময়ের বাইরে যত দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত সময়ে কাজ চলবে বলে আমরা ঘোষণা করছি।”

উপকমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, “আমরা নির্ধারিত সময়ে যেতে চাই না। প্রয়োজন অনুসারে কাজ করব। অতিরিক্ত সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে এনবিআরের নির্দেশনা লাগবে।”

গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে ১৪ মে থেকে কলম বিরতি ও পরে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে আসছেন এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এনবিআরের কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে অধ্যাদেশ পরিমার্জন ও বেশির ভাগ দাবি বিবেচনার কথা জানালে কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়