ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ২১ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’, ‘স্বজনপ্রীতি’ ও ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’সহ বিস্তর অভিযোগ এনে এর অপসারণ দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের কোন প্রমাণ দেখানো হয়নি।

এর আগে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের এ অংশ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করে আসছিলেন।

মানববন্ধনে ঘোষিত পরবর্তী কঠোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সম্মেলন করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এসব অভিযোগ প্রমাণসহ জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে তারা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ পাঠ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পরে ৪৭৫তম সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ব্যাপক পরিবর্তন করে নিজের মেয়ে ও জামাইকে ট্যুরিজম হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ও আইবিএতে নিয়োগ দিয়েছেন। তাছাড়া আট বিভাগের ২৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন যাদের অনেকের আগের নীতিমালায় আবেদন করার যোগ্যতায় ছিল না। স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক অ্যাডহক নিয়োগ দিয়েছেন যারা প্রকৃত অর্থেই অযোগ‌্য ও নিকটাত্মীয়।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, উপাচার্য নিজের কন্যা সানজানা সোবহানকে ২০১৮ সালে নতুন টুরিজম অ‌্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ও জামাতা বগুড়ার বিএনপি-জামাত পরিবারের সন্তান এটিএম শাহেদ পারভেজিকে ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) শিক্ষক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সর্বজন প্রশংসিত ও সরকার সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালাকে চরমভাবে নিম্ন পর্যায়ে টেনে নিয়েছেন। নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মেধাতালিকায় প্রথম হতে সপ্তম স্থানে মধ্যে থাকতে হবে কিন্তু  বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তার কন্যা ও জামাতার মেধাক্রম ছিল যথাক্রমে ২১তম ও ৬৭তম। আইবিএতে দরখাস্তকারীদের ৬৬ জনের সিজিপিএ ৩.৫ এর উপরে। পূর্বে নীতিমালা অনুসারে তার জামাইয়ের দরখাস্ত করার যোগ্যতাও ছিল না। মেয়ে-জামাইয়ের জন্য বাণিজ্য অনুষদের যোগ্যতা সিজিপিএ ৩.৫ থেকে ৩.২৫ পর্যায়ে নামিয়ে আনেন।’

লিখিত বক্তব্যে সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নিপীড়ন, নিয়োগ বাণিজ্যের নির্মূল চাই, দুর্নীতিবাজদের অপসারণ চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা ও সংষ্কৃতির পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। একাজে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও সর্বোপরি সরকারের সহায়তা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুন্নবী সামাদী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক একরাম উল্লাহ, আইন বিভাগের সভাপতি বিশ্বজিৎ চন্দ্র, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিয়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী পরিচালক চঞ্চল প্রমুখ।



রাবি/শাহিনুর/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়