ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ‘মুক্তবাংলা’

কাঞ্চন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন ‘মুক্তবাংলা’

মুক্তবাংলা

জেলা প্রতিবেদক
কুষ্টিয়া, ১১ ফেব্রুয়ারি : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বারক ভাস্কর্য ‘‘মুক্তবাংলা’’। এটি সর্ব সাধারণের কাছে পরিচিত। বিশেষ অতি পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে।

এই শিক্ষাঙ্গনের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে এই চোঁখ জুড়ানো ‘মুক্তবাংলা’।

ইসলামের মৌলিক নীতিমালা অক্ষুন্ন রেখে এবং আধুনিক স্থাপত্য শিল্পের আঙ্গিকে ১৯৯৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রশাসন ভবনের পূর্ব পাশে স্থাপিত হয় এই ‘মুক্তবাংলা’। খ্যাতিমান ডিজাইনার রশিদ আহমেদের নকশার ভিত্তিতে একে অপরূপ সৌন্দর্যে রূপ দেওয়া হয়।

‘মুক্তবাংলা’র’ সাতটি স্তম্ভ সম্বলিত গম্বুজের উপর রয়েছে দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার রাইফেল, যা সাত সদস্যের মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীসভার প্রতীক।

প্রতিটি স্তম্ভ বিস্তৃত প্রশারিত হাত ধরাধরি উল্লসিত অবয়বে আধুনিক ইসলামী স্থাপত্য ভিত্তিক আর্চ রচিত, চোঁখে লাল সূর্য উদয়ের প্রত্যাশা, সর্বনিম্ন বড় ইট যা লাগাতার আন্দোলন নির্দেশক। নয়নাভিরাম ভাস্কর্যটির উপর থেকে চতুর্থ ধাপে রয়েছে লাল সিরামিক ইট যা আন্দোলন ও যুদ্ধের প্রতীক, দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে কালো পাথর যা শোক ও দুঃখের প্রতীক, তৃতীয় ধাপে রয়েছে সাদা মোজাইক যা সন্ধি ও যোগাযোগের প্রতীক এবং বেদির মূল মেঝে রয়েছে সবুজ মোজাইক ও নীল টাইলস যা শান্তির প্রতীক।

সমুদয় অবকাঠামোটি সাতটি আর্চ সম্বলিত একটি অর্ধ উদিত (উদীয়মান) সূর্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স ফিজিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী নুসরাত জাহান লিজা এবং একই বিভাগের তাসলিমা আজিম নোভা বলেন, মুক্ত বাংলার সৌন্দর্য ও বিশেষত্ব উপভোগ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী ছাড়াও প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ব্যতিক্রমী এই রুচিশীল স্থাপত্য কর্মটি প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ডানদিকে সবার নজর কাড়ে।

রাইজিংবিডি / কাঞ্চন / রণজিৎ



রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়