‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত অধিকাংশ ফ্ল্যাটই খালি’
![‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত অধিকাংশ ফ্ল্যাটই খালি’ ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত অধিকাংশ ফ্ল্যাটই খালি’](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2022August/Untitled-1-2212011038.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভবন ও হল নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জন্য নির্মিত বহুতল ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাটই খালি পড়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মোতাবেক কর্মসম্পাদন, প্রমাণক সংরক্ষণ ও কমিশনে পাঠানো সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান ।
প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, আবাসিক সঙ্কটের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। অপ্রয়োজনে ভবন নির্মাণ করা হলে শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ভবন খালি পড়ে রয়েছে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্পে একই ধরনের ভবন নির্মাণের বিষয়টি যুক্ত না করা দরকার।
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি সম্পর্কে প্রফেসর মো. আবু তাহের বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বারবার তারা সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করছেন। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তারা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের তদন্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
নতুন প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নকশা নান্দনিক করা এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবাহের ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন এসি লাগবেই। সেখানে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন রাখা হচ্ছে না। এতে করে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে এবং সরকারের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়ক বারবার সংস্কার প্রসঙ্গে প্রফেসর আবু তাহের বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা বছরে তিন বার রাস্তা সংস্কার করারও উদাহরণ আছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের ফলেই এ ঘটনা ঘটছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ যেন ইন্টারেক্টিভ হয় সেভাবে তৈরি করা, পরীক্ষার হল ও লেকচার থিয়েটার রাখা, পাঠাগার ভবন ছোট ও ই-রিসোর্স সমৃদ্ধ করা, ল্যাবরেটরি আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করা; পদবি পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাধিকারের ভিত্তিতে আসবাবপত্র পরিবর্তন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
ইয়ামিন/এনএইচ
আরো পড়ুন