ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘যুবতী রাধে’ নিয়ে সরলপুরের অভিযোগ দায়ের

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:২৫, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
‘যুবতী রাধে’ নিয়ে সরলপুরের অভিযোগ দায়ের

সরলপুর ব্যান্ডের বহুল আলোচিত ‘যুবতী রাধে’ গান নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কপিরাইট অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছে দলটি।

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের গান নিয়ে আয়োজন করেছে ‘আমাদের গান’ নামে অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানের তৃতীয় আসরে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেন চঞ্চল-শাওন। নতুন করে গানটির সংগীতায়োজন করেন পার্থ বড়ুয়া।

সরলপুর ব্যান্ডের ভোকাল মার্জিয়া আমিন তুরিন জানান, আলোচিত এ গান সরলপুর ব্যান্ডের। কারণ এ গানের কপিরাইট সার্টিফিকেট তাদের রয়েছে। আর বিনা অনুমতিতে সরলপুর ব্যান্ডের ৪২ লাইনের এই গানের ৩২ লাইন হুবহু গাওয়ার অভিযোগে গত ৭ ডিসেম্বর প্রমাণসহ অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।

এর আগে ‘আইপিডিসি আমাদের গান’ প্রকল্পে গানটি প্রকাশের পর কপিরাইটের অভিযোগে ইউটিউব ও ফেসবুক গানটি সরিয়ে নেয়। তারপরই মূলত বিতর্কের জাল আরো বিস্তৃত হয়। ‘গানটি মৌলিক নয়’—এমন দাবিতে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরী। বাংলা একাডেমির ফোকলোর উপবিভাগের সহ-পরিচালক সাইমন জাকারিয়াও বিভিন্ন লোকসংগীত গ্রন্থ থেকে গানটির বিভিন্ন অংশের সমিল তুলে ধরেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

যদিও সরলপুর ব্যান্ড জানিয়েছে, গানটি রাধা-কৃষ্ণের চিরায়ত প্রেম কাহিনি অবলম্বনে তাদের সৃষ্ট গানটি সম্পূর্ণ নতুনত্বের দাবি রাখে। ২০১৮ সালে কণ্ঠশিল্পী সুমী মির্জা একই ধরণের অভিযোগ তুলেছিলেন। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই ও গবেষণার পর কপিরাইট অফিস সরলপুর ব্যান্ডের সনদ বহাল রাখে।

সম্প্রতি আইপিডিসি কর্তৃপক্ষ কপিরাইট অফিসে সরলপুর ব্যান্ডের গানটির মৌলিকত্ব নিয়ে পুনরায় প্রশ্ন তুলে তাদের সনদ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। সরলপুর ব্যান্ডের ভোকাল মার্জিয়া আমিন তুরিন বলেন—আমরা এ ব্যাপারে মোটেই চিন্তিত নই। আমরা তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষজনক জবাব কপিরাইট অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন বিবেচনায় গানটির কপিরাইটের বিষয়ে আমাদের যৌক্তিক দাবি কপিরাইট অফিস সুবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত নেবেন। অন্যথায় যেকোনো নেতিবাচক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

সরলপুর ব্যান্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা বলেন—বাংলাদেশের কপিরাইট আইন অনুযায়ী গানটির কপিরাইট ইস্যুতে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে আইপিডিসির যোগ্যতা ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক আইনেও কপিরাইট লঙ্ঘনকারী কখনই কপিরাইটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রাখার যোগ্যতা রাখে না। পাশাপাশি একইরকম অভিযোগে কপিরাইট অফিসের রেজিস্টার শুনানির মাধ্যমে গানটির কপিরাইট সনদ বহাল রেখেছেন, সে ক্ষেত্রে তার বা তার সমান ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি গ্রহণে দেওয়ানী কার্যবিধি ১১ অনুসারে আইনগত বাধা আছে। ফলে ‘যুবতি রাধে’ গানটি নিয়ে আইপিডিসি কর্তৃপক্ষের আবেদনটি শুরুতেই খারিজযোগ্য বলে আমরা মনে করি। এছাড়াও গানটির মৌলিকত্ব প্রসঙ্গে সরলপুর তাদের যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছে, যা এ ধরণের গানের ক্ষেত্রে শুধু আমাদের দেশের আইন নয় আন্তর্জাতিক আইনও সরলপুরকে সমর্থন করছে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়