করোনায় আক্রান্ত অভিনেত্রী সন্ধ‌্যা রায়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার প্রবীণ অভিনেত্রী সন্ধ‌্যা রায়। শনিবার (৮ মে) তার কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বর্তমানে কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ‌্যম জানিয়েছে, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রসূন মিত্রের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে সন্ধ‌্যা রায়ের। শনিবার (৮ মে) রাতে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিন থেকে জানা যায়, তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা রয়েছে ৯৬। হাইপারটেনশন ও হাই ডায়াবেটিস রয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। রোববার (৯ মে) তার চিকিৎসায় রেমডিসিভির, স্টেরয়েড ব‌্যবহার করা হবে। এছাড়াও তার নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে।

গত ৭ মে কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন‌্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সে ভর্তি করা হয় সন্ধ‌্যা রায়কে। কিন্তু পরের দিনই তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাকে উডল্যান্ডে নিয়ে যান তার পরিবার। সর্দি-জ্বর ছাড়া কোভিডের আর কোনো উপসর্গ এই মুহূর্তে নেই। আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে জন্ম সন্ধ্যা রায়ের। অভিনেত্রীর জন্মের কিছুদিন পর বাংলাদেশ চলে আসেন তার পরিবার। ১৯৫৭ সালে আবারো ভারতে ফেরেন সন্ধ্যা রায়। তারপর নাম লেখান চলচ্চিত্রে। সন্ধ‌্যা রায় অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মামলার ফল’। তার অসামান্য অভিনয় কৌশল অনায়াসে যে কোনো সিনেমার চরিত্রের সঙ্গে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারতেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা রায়।

সন্ধ‌্যা রায় অভিনীত প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্যে হলো—সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনী সংকেত’, তরুণ মজুমদারের ‘থাগিনি’, ‘বাবা তারকনাথ’, ‘মণিহার’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘সংসার সীমান্ত’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘মৃগ’, ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বাঘিনী’ প্রভৃতি।

মমতা বন্দ‌্যোপাধ‌্যায়ের আহ্বানে তৃণমূলে যোগ দেন সন্ধ‌্যা রায়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পান এবং মেদিনীপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন এই বরেণ‌্য অভিনেত্রী।