পরমব্রতর বিরুদ্ধে ঢাকায় জিডি হয়নি: এফটিপিও

বিনা অনুমতিতে ঢাকায় কাজ করায় কলকাতার অভিনেতা পরমব্রত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে দেশের টেলিভিশন মিডিয়ার শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে এমন খবর ছড়ায়। যদিও শুরু থেকেই এ সংবাদের প্রতিবাদ জানান ওই সময়ের ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি অভিনেতা-নির্মাতা গাজী রাকায়েত। কারণ বনানী থানায় সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনিই উপস্থিত ছিলেন।

পুরোনো বিষয়টি ফের সামনে এলো। বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর নিকেতনে এফটিপিও’র অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এফটিপিও’র চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী রাকায়েত প্রমুখ। তারা জানান—জিডি পরমব্রত চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে হয়নি এটা ছিল মিডিয়া ইনডিসিপ্লিনের বিরুদ্ধে।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও) গঠিত হওয়ার পর আমরা লক্ষ্য করি যে, আমাদের দেশের কিছু ব্যবসায়ী ও প্রযোজক বেশ কয়েক বছর ধরেই বিদেশি শিল্পী কলাকুশলীদেরকে পর্যটন ভিসায় এনে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন সমূহকে অবগত না করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই বিনা ওয়ার্ক পারমিটে অবৈধভাবে টেলিভিশন মাধ্যমে শুটিংসহ নানাবিধ কারিগর বিষয়ে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। পেশাজীবী সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের গঠনতন্ত্রে আছে বিদেশি কোনো পরিচালকের দেশে কাজ করতে হলে একশত ডলার চাঁদা প্রদান করে তাকে অস্থায়ী সদস্য পদ নিয়ে কাজ করানো যাবে। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারা যায়, ক্যান্ডি প্রোডাকশন লিমিটেড প্রযোজনা সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য শিল্পী পরমব্রত চ্যাটার্জির পরিচালনায় একটি ধারাবাহিক কাহিনিচিত্র নির্মাণ করবে। তাদের অস্থায়ী সদস্যপদ নেওয়ার জন্য অবগত করা হলেও তা না নিয়ে তারা কাজ শুরু করে দেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জিডি করা হয়েছিল।’

পরমব্রতর বিরুদ্ধে জিডির খবরটি ভুলভাবে প্রকাশিত হওয়ায় ওপার বাংলার শিল্পীদের মাঝে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এমনকী এপারের অনেক শিল্পীই ভারতে কাজ করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন। এ কারণে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি পরিষ্কার করা হলো বলে জানান গাজী রাকায়েত।