দিলদারের পরিবারের কে কোথায় আছেন?
জ্যেষ্ঠ বিনোদন প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদার। পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শককে বাড়তি বিনোদন যোগাত, যা তাকে এনে দিয়েছিল তুমুল দর্শকপ্রিয়তা। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই শিল্পী। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে দিলদারের চলে যাওয়ায় বাংলা সিনেমার যেমন অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তেমনি অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে তার পরিবার।
দিলদারের মৃত্যুর পর চলচ্চিত্রাঙ্গণের কোনো অনুষ্ঠানে দেখা মেলে না তার পরিবারের সদস্যদের। নন্দিত এই অভিনেতার পরিবারের কে কোথায় আছেন বা কেমন আছেন তা অনেকেরই অজানা। বিষয়টি জানতে চাইলে তার ছোট মেয়ে জিনিয়া জানান, দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়িতেই থাকেন তিনি।
জিনিয়া বলেন, ‘বাবা যা আয় করতেন তা থেকে টাকা জমিয়ে সারুলিয়ায় (ডেমরা) একটা পাঁচতলা বাড়ি করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে ওই বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এর নাম দেয়া হয় ‘কৌতুক অভিনেতা দিলদার ভিলা’। এখন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেয়া এবং পাঁচ তলায় আমার মা মাঝেমধ্যে থাকেন। এ ছাড়া তিনি চাঁদপুর এবং ঢাকায় আমাদের দু’বোনের কাছেও থাকেন।
দিলদার দুই কন্য সন্তানের জনক ছিলেন। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার রুমা। তিনি পেশায় দন্ত চিকিৎসক। তিনি পরিবার নিয়ে গুলশানের নিকেতনে থাকেন। ছোট মেয়ের নাম জিনিয়া আফরোজ সোমা। তিনি বসুন্ধরা এলাকায় থাকেন। তার স্বামী পাঁচ বছর আগে ক্যানসারে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
দিলদার ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বিক্ষোভ’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’ সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক মাতিয়েছেন তিনি।
দিলদারের তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে পরিচালক তাকে নায়ক হিসেবে পর্দায় হাজির করেন। ‘আব্দুল্লাহ’ নামের সেই সিনেমাটিও দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন দিলদার।
রাহাত//