শেখ হাসিনার সঙ্গে তোলা ছবি পোস্ট করে যা বললেন বাঁধন
পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন বাঁধন
পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তার চোখ-মুখে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। তার সামনের চেয়ারে বসা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁধনের দিকে ফিরে হাসছেন। বাঁধনের পাশে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই দাঁড়িয়ে আছেন। একটি স্থিরচিত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা রাখেন আজমেরী হক বাঁধন। বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করেন তিনি। পাশাপাশি এই ছবি নিয়ে নানা তথ্য শেয়ার করেছেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, “এই ছবিটাই তো? সেই সময় আমি তাকে বলেছিলাম, লোকজন ভাবছে আমরা পরিকল্পনা করে একই রঙের পোশাক পরেছি। কারণ আমাদের পোশাকের রঙ একই ছিল। এ কথা শুনে তিনি হেসে ফেলেছিলেন। তার এই হাসি আমার ভালো লেগেছিল। কারণ এটি সত্যিকারের হাসি ছিল। সেই মুহূর্তে তাকে আমাদেরই একজন মনে হয়েছিল।”
শেখ হাসিনার জীবনের গল্প বাঁধনকে অনুপ্রাণিত করেছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “তার গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল: এক রাতে পুরো পরিবার হারিয়েছে, শরণার্থী হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তারপর ফিরে আসেন সেই দেশে—যে দেশ তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। এমন সাহস খুব কম দেখা যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি দেখেছি কীভাবে ক্ষমতা একজন মানুষকে একদম বদলে দিতে পারে—একজন শয়তানে পরিণত করতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসার কারণ ব্যাখ্যা করে বাঁধন বলেন, “এবার মজার একটি কথা বলি—আমি তার সঙ্গে হেসেছিলাম, তার মানে এই না যে, আমি পরেরবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছি! আমার প্রিয় বিএএল সদস্যরা, আপনারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আমি সচেতনভাবে কথা বলি! আমি আমার দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়াই! আমাকে নিয়ে কেন এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? আমি জানি, আপনারা হয়তো আর কখনো রাজনীতিতে ফিরবেন না। কিন্তু আপনারা এখনো মানবিক হতে পারেন।”
সত্যিকারের একজন নেতা ও মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাঁধন বলেন, “সেই দপ্তরের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করুন, যারা ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেন—২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা আমাকে কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই পৃথিবীতে অনেকেই অমানবিক হয়ে গেছেন, সেখানে মানবিক থাকা কঠিন। কিন্তু চেষ্টা তো করা যায়। সত্যিকারের একজন নেতা হোন। একজন মানুষ হোন।”
বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বাঁধন বলেন, “আপনারা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করেছেন? এই দেশের নারীদের সঙ্গে আপনারা এটাই করেন। যা ইচ্ছা করেন। আপনি বিজয়ী হয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। কিন্তু আমাকে আক্রমণ করা ছাড়া আপনার আর কী করার আছে? না কি আপনারা ঠিক করেছেন, যার চরিত্র সবচেয়ে খারাপ, সেই-ই হবে আপনাদের সংসদ সদস্য, যদি আপনারা ক্ষমতায় যান?”
ঢাকা/শান্ত