সাপের আকাশে ওড়ার রহস্য উদ্ঘাটন
রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম
উড়ন্ত সাপ
ডেস্ক রিপোর্ট
ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি : অনেকেই হয়তো দেখেছেন, বনজঙ্গলে এক গাছ থেকে উড়ে আরেক গাছে গিয়ে পড়ছে সাপ। কিন্তু কীভাবে ওড়ে? এত দিন এ প্রশ্নটি শুধু রহস্য হয়েই বিজ্ঞানীদের মাথায় ঘুরেছে।
এবার সাপের আকাশে ওড়ার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিজ্ঞানী। ভার্জিনিয়ার টেক ওয়েক ফরেস্ট গবেষক জেক সোচা বর্ণনা করেছেন কীভাবে সাপ আকাশে ওড়ে।
সোচার ভাষ্য অনুযায়ী, দেহ লম্বা ও চ্যাপ্টা করে আকাশে ওড়ে সাপেরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃষ্টিবহুল বনজঙ্গলে উড়তে সক্ষম এ ধরনের বিরল জাতের সাপের দেখা মেলে। বাংলাদেশেও উড়ন্ত সাপ চোখে পড়ে।
উল্লেখ্য, সাপ সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী। সরীসৃপরা সাধারণত উড়তে পারে না। কিন্তু পাঁচ প্রজাতির সাপ উড়তে সক্ষম।
সোচা বলছেন, দেহ চ্যাপ্টা করে বায়ুগতির সঞ্চার করতে পারে সাপ। এ গতির ফলে কোনো প্রকার ডানা ছাড়া উড়তে সক্ষম এ পাঁচ প্রজাতির সাপ।
এ ছাড়া সাপেরা নিজেদের শরীর ‘এস’ (অক্ষর) আকৃতিতে বাঁকিয়ে ১০০ ফুট পর্যন্ত লম্বা গাছ বেয়ে উঠতে পারে। ওড়ার সময়ও সাপেরা মুহুর্মুহু তাদের দেহ বাঁকাতে থাকে।
সোচা জানিয়েছেন, সাপেদের ওড়া দেখে মনে হয় ওরা যেন সাঁতার কাটছে। পুরো শরীরটাকে একটা উচ্চতার স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম তারা।
সাপেদের ওড়ার রহস্য নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা একটি রডকে সাপের দেহের আকৃতিতে বাঁকিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেন। দেখা যায়, রডটি ভাসছে। যদিও পানির ঘনত্ব হাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ভাসার তত্ত্ব প্রমাণ করে সাপেরা কীভাবে আকাশে ওড়ে।
এই গবেষণার ফলাফল ‘দ্য জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি’তে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়। জেক সোচার ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ওড়ার সময় সাপেরা তাদের দেহকে হাওয়াই চাকতির মতো প্রসারিত করে নেয়। এরপর দ্রুত এস আকৃতিতে দেহ ঘোরাতে থাকে। তবে এ পুরো প্রক্রিয়াটি ঘটে খুবই দ্রুত। আর এভাবেই সাপেরা আকাশে ওড়ে।
রাইজিংবিডি / রাসেল পারভেজ / আবু মো.
রাইজিংবিডি.কম