বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অভিযান, জরিমানা
বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একযোগে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি করার দায়ে ৩৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে, যা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ১০টি ডিজেল-চালিত বাস ও ট্রাকের গ্যাসীয় নিঃসরণমাত্রা স্মোক অপাসিটি মিটার দিয়ে পরিমাপ করা হয়। এতে ত্রুটি ধরা পড়ায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৫টি মামলা দায়ের করা হয়।
এই অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশিক আহমেদ।
প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা গবেষণাগারের জুনিয়র কেমিস্ট মো. মাহবুর রহমান। এসময় পুলিশ বাহিনী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণসামগ্রীর কারণে বায়ুদূষণ করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২-এর বিধি ১১(ঙ) লঙ্ঘনের দায়ে দুটি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পাল। প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার গৌরব মুস্তাফা।
একই দিনে ঢাকায় বিআরটিএর সঙ্গে যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, ১০টি মামলা দায়ের এবং একটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এই কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান।
ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড্ডা, কামদাল, বারপাড়া ও বন্দরে পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন প্রসিকিউশনের দায়িত্বে ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াং ইউয়ান কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা জরিমানা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও এইচ টি ক্যাবল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর না করা পর্যন্ত কারখানা পরিচালনা না করার শর্তে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দিয়েছে।
বায়ুদূষণ রোধে এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল