গরমে নাজেহাল, আশ্রয় গাছের নিচে
আনোয়ার হোসেন শাহীন || রাইজিংবিডি.কম
দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে মানুষ (ছবি : শাহীন)
আনোয়ার হোসেন শাহীন, মাগুরা : দাবদাহে পুড়ছে মধুমতি-নবগঙ্গা বিধৌত মাগুরাবাসী। ঝড়-বাদলের বৈশাখেও বৃষ্টি নেই। ছড়িয়ে পড়ছে প্রচণ্ড তাপ।
গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। শহর থেকে গ্রামীণ জীবন, কোথাও স্বস্তি নেই। দুঃসহ গরমে মানুষ সিদ্ধ হচ্ছে। একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে সবাই। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। গরমে নাজেহাল জীবন, একটু শান্তি পেতে মানুষ আশ্রয় খুঁজছে গাছের নিচে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরো দুই-তিন দিন থাকতে পারে, এরপর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাগুরাসহ আশপাশের জেলায় তাপমাত্রা ৩৩-৩৬ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। গরম আরো কয়েকদিন থাকবে। বৃষ্টি হলে গরম কমে যাবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া অফিস থেকে।
দাবদাহে বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা। ফুটপাতে বিক্রি করা লেবুর শরবত, কাটা ফলমূল খাচ্ছে অনেকে। চাহিদা বেড়েছে তরমুজ, শরবত, ডাব ও কোল্ড ড্রিংকসের। ফাস্টফুডের দোকানে কোমলপানীয়, জুস ও আইসক্রিমের বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন শহরের বিভিন্ন দোকানি। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে কদর বেড়েছে হাতপাখার।
তীব্র তাপ প্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক এবং নির্মাণ শ্রমিকেরা। প্রখর রোদে সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠছে তারা। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে মধুমতি নদী। খাল-বিল-পুকুরও শুকিয়ে গেছে। কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির জন্য চলছে দোয়া-প্রার্থনা।
দাবদাহে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশিসহ মৌসুমি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মোকসেদুল মোমিন জানান, গরমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় মানুষের হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। স্যালাইন, লেবুর শরবত ও ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে বাইরের খোলা খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা রাইজিংবিডিকে জানান, গত এক সপ্তাহে জেলায় দাবদাহ চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে তা কৃষির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
রাইজিংবিডি/মাগুরা/২৫ মে ২০১৫/আনোয়ার হোসেন শাহীন/সনি/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন