চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবারে ওরস শুরু
রেজাউল || রাইজিংবিডি.কম
হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম, ২২ জানুয়ারি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মাইজভান্ডারী তরিকার প্রবর্তক গাউসুল আজম হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.) ১০৮তম বার্ষিক ওরস শরিফ বুধবার ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফে শুরু হয়েছে।
ওরস শরিফ উপলক্ষে তিন দিনের বিশেষ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে দরবারে। ওরশ উপলক্ষ্যে সারা দেশ এবং ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত, অনুরাগি ও মুরিদানরা ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরিফে সমবেত হয়েছে।
বুধবার মাইজভান্ডারে কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকালে কোরআন খতম, বিকালে মাজারে গোসল ও রওজা শরিফে গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে ওরস শরিফের মূল আনুষ্ঠানিকতার শুরু হবে।
মাইজভান্ডারের এই প্রধান ওরস উপলক্ষে গাউছিয়া আহম্মদিয়া মনজিল, গাউছিয়া রহমানিয়া মনজিল, গাউছিয়া মঈনিয়া মনজিল, গাউছিয়া হক মনজিল, গাউছিয়া হাদি মনজিল, নেজামিয়া মনজিলসহ প্রত্যেক মনজিলে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, মিলাদ মাহফিল, হালকায়ে জিকির, ছেমা মাহফিল, বিশেষ মুনাজাত, আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্তের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম রেলওয়ে নাজিরহাট পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে।
প্রতি বছর দেশের লাখ-লাখ ভক্ত ও মুরিদানরা উট, গয়াল, গরু, মহিষ, ছাগল হাদিয়া, নজর-নেওয়াজ মাইজভান্ডার দরবারে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, বার্মা, ভুটান, মালদ্বীপ থেকেও অনেক আশেক ভক্ত-অনুরক্তরা গরু মহিষ নিয়ে এখানে আসেন।
ওরস উপলক্ষে মাইজভান্ডারের ৩/৪ মাইল এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। মেলায় রয়েছে কুটির শিল্প, গ্রামীণ গৃহস্থালী সামগ্রী, ডালা-কুলা দা-বঁটি, কাঠের পিড়ি-মোড়া, পিঠা তৈরির বিভিন্ন ছাঁচ, চুড়ি, বাঁশি, খেলনা, মোয়া-মুড়কি ইত্যাদির বিশাল সমারোহ।
ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও ফটিকছড়ি থানা প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশ-র্যাব-আনসার ও সহ¯্রাধিক বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োজিত করেছে দরবার কর্তৃপক্ষ।
ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ওরশ উপলক্ষে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক নজরদারি করা হবে।
এছাড়া যানবাহন পার্কিং এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুকুর আবর্জনা মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্রাম্যমাণ স্যানিটেশন ব্যবস্থা করেছে দরবার কর্তৃপক্ষ। সকল প্রকার যোগাযোগের জন্য একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে দরবার শরীফে।
রাইজিংবিডি / রেজাউল / টিপু
রাইজিংবিডি.কম