ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জাপানিরা শিনজো আবেকে মনে রাখবে যে কারণে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ৯ জুলাই ২০২২   আপডেট: ০৯:০৬, ৯ জুলাই ২০২২
জাপানিরা শিনজো আবেকে মনে রাখবে যে কারণে

শিনজো আবে

দুই বছর আগে শারীরিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ততক্ষণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘসময় পার করেছেন শিনজো আবে।

পড়ুন: ‘অসন্তোষের’ কারণে শিনজো আবেকে হত্যা

৭ বছর ৮ মাসের সেই মেয়াদকালে বিশ্ব রাজনীতিতে জাপানকে এক অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন শিনজ়ো আবে। এমনটাই দাবি কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুর পর বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো যেমন একদিকে আবের কূটনৈতিক সাফল্যের দিক তুলে ধরেছে, তেমনই ঘরোয়া রাজনীতিতে আবের গুরুত্ব কতটা ছিল, তা নিয়েও আলোচনা ছিল টক অব ওয়ার্ল্ড।

পড়ুনগুলিতে আহত শিনজোর মৃত্যু, বিশ্বনেতাদের শোক

রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা আবের জাপানের রাজনীতিতে আসা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তার দাদা নবুসুকে কিশি এক সময়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন। বাবা শিনতারো আবে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আমেরিকা থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে আশির দশকের গোড়ায় জাপানের রাজনীতিতে পা রাখেন আবে। প্রথমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন ২০০৬ সালে। দলের খারাপ ফল আর অসুস্থতার কারণে এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থকে ইস্তফা দিয়ে দেন তিনি, কিন্তু পাঁচ বছরের মাথায়, ২০১২ সালে ফের জাপানের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন তিনি।

নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন জাপানিরা

তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আবেকে। পরের কয়েকটা বছরে তরতরিয়ে এগিয়েছে তার রাজনৈতিক ক‌্যারিয়ার। একদিকে, যেমন দেশে দারিদ্র্য নীতি প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেইসঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের বাড়তে থাকা প্রভাব প্রশমনে দেশের সংবিধানে বদল আনার স্পর্ধাও দেখিয়েছিলেন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যে জাপান দেশের অস্ত্রভান্ডার বাড়ানোর দিকে এত দিন নজর দেয়নি, আবের নেতৃত্বে সেই জাপান সরকারই প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেও জাপানের মানুষ পরে বুঝেছিলেন চিনের আগ্রাসন আটকাতে বিচক্ষণ আবে কেন এই পথ বেছেছিলেন।

পড়ুনশিনজো আবের মৃত্যুতে আজ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক

পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের একক আধিপত্য খর্ব করতে চতুর্দেশীয় কোয়াড গঠনের গঠনে ছিলেন আবে। ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এই কোয়াড গঠন আবের অন্যতম সেরা কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হয়। শুধু তা-ই নয়, এশিয়ার রাজনীতিতে ভারতের গুরুত্ব বুঝতেও একটুও ভুল করেননি তিনি। ভারতের সঙ্গে তার সরকারের সম্পর্ক তাই সব সময়েই ছিল উষ্ণ ও মধুর। তবে চিনকে রুখতে কোয়াড গঠন করলেও আবের আমলেই বেজিংয়ের সঙ্গে টোকিয়োর কূটনৈতিক সম্পর্ক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছিল। বেজিংয়ে অ্যাপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে আবে দেখা করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন আবে। তবে উত্তর কোরিয়া নিয়ে বরাবরই তার বিদেশ নীতি ছিল কঠোর।

সূত্র: আনন্দবাজার

/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়